1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের গদির দিকে চার পুরুষের নজর

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জার্মানির জোট সরকারের প্রধান শরিক দল সিডিইউ নেতৃত্বের সংকটে পড়েছে৷ সভাপতি পদের দাবিদারের সংখ্যা বাড়ছে৷ চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেল মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবেন কিনা, সেই প্রশ্নও উঠে আসছে৷

https://p.dw.com/p/3Xz9z
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও সিডিইউ নেতা নর্বার্ট রোটগেন
ছবি: Reuters

২০২১ সালে জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচন হবার কথা৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবার মেয়াদ পূরণ করে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেছেন৷ সেই লক্ষ্যে সিডিইউ দলের সভাপতিত্ব আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ ম্যার্কেল নিজে যাকে উত্তরসূরি হিসেবে তুলে ধরেছিলেন, সেই আনেগ্রেট কাম্প কারেনবাউয়ার সভাপতি হিসেবে আচমকা দায়িত্ব ছেড়ে দেবার ঘোষণা করেছেন৷ সেই শূন্যস্থান পূরণ করার আশায় আসরে নামছেন একের পর এক নেতা৷ প্রথমে দলের সভাপতি, তারপর নির্বাচনে জিতলে চ্যান্সেলর পদের দাবিদার হতে পারেন দলের নতুন নেতা৷

কাম্প কারেনবাউয়ার পদত্যাগের ঘোষণা করার পর থেকে তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিন ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে৷ তাঁদের মধ্যে দু'জন এর আগে দলীয় ভোটে তাঁর কাছেই হেরে গিয়েছিলেন৷ জনপ্রিয় নেতা ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস ও বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান আবার সেই প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে চান৷ তালিকায় রয়েছেন জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ার মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেট৷

মঙ্গলবার আচমকা প্রাক্তন পরিবেশমন্ত্রী নর্বার্ট রোটগেন নিজেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরলেন৷ বর্তমানে সংসদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান হিসেবে তিনি সক্রিয় রয়েছেন৷ রোটগেন বলেন, সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলে তিনি চরম দক্ষিণ ও বামপন্থিদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে দলকে আবার মধ্যপন্থি শক্তি হিসেবে শক্তিশালী করতে চান৷ যেসব ভোটার বীতশ্রদ্ধ হয়ে সিডিইউ-কে আর ভোট দিচ্ছেন না, তাঁদের কথা মন দিয়ে শুনতে চান রোটগেন৷

দলের একই রাজ্য শাখা থেকে চার জন পুরুষ সিডিইউ দলের সভাপতি হবার দৌড়ে আগ্রহ দেখানোর পরিণতি নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে গেছে৷ একদল মনে করছেন, এমন খোলামেলা প্রতিযোগিতা হলে বর্তমান সংকট পেছনে ফেলে আখেরে দল আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে৷ বিশেষ করে তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীরা উৎসাহ পাবেন৷ কিন্তু সরকারের অপর শরিক দল এসপিডি খোলামেলা প্রতিযোগিতার ফলে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিডিইউ দলের মধ্যে অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন৷

এ সবের মধ্যে চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেলের কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে৷ শুধু সভাপতি হিসেবে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা যে কতটা কঠিন, কাম্প কারেনবাউয়ার তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন৷ তাই নতুন নেতা নির্বাচিত হলে ম্যার্কেলের পদত্যাগ করা উচিত বলে কিছু মহল মনে করছে৷ সভাপতি ও চ্যান্সেলর হিসেবে নতুন নেতা দলকে ঢেলে সাজিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে পারবেন বলে তাঁদের আশা৷ তবে ম্যার্কেল বিদায় নিলে মহাজোট সরকার আদৌ টিকবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ কারণ, এসপিডি দল ম্যার্কেল ছাড়া অন্য কোনো সিডিইউ নেতাকে চ্যান্সেলর হিসেবে না-ও মানতে পারে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)