ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিং: সেলিম থেকে সাকিব
ক্রিকেটকে বলা হতো ভদ্রলোকের খেলা৷ কিন্তু স্লেজিং, ম্যাচ ফিক্সিং, স্পট ফিক্সিংসহ নানা কেলেঙ্কারির কারণে ক্রিকেট আর সেই জায়গায় নেই৷ ছবিঘরে দেখে নিন ম্যাচ ফিক্সিং আর স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে কোন দেশের কতজন নিষিদ্ধ হয়েছেন৷
সবচেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান
পাকিস্তানের এ পর্যন্ত ছয় জন ম্যাচ পাতানো বা স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন৷ এ তালিকায় প্রথম নাম সেলিম মালিক৷ ১৯৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন আর মার্ক ওয়াহকে খারাপ খেলার জন্য টাকা দিতে চাওয়ার অভিযোগে ২০০০ সালে তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়৷ সেই নিষেধাজ্ঞা অবশ্য আট বছর পর প্রত্যাহার করে নেয়া হয়৷
পাকিস্তানের আরো পাঁচ জন
পাকিস্তানের আতা-উর-রেহমান, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ, সালমান বাট আর দানিশ কানেরিয়াও ম্যাচ পাতানো বা স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে শাস্তি পেয়েছেন৷ জুয়াড়ির কাছ থেকে টাকা নেয়ায় আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আতাউর৷ ছয় বছর পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়৷ এছাড়া স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে মোহাম্মদ আমির পাঁচ বছরের জন্য আর ম্যাচ পাতানোয় মোহাম্মদ আসিফ সাত বছর, সালমান বাট ১০ বছর এবং দানিশ কানেরিয়া আজীবন নিষিদ্ধ হন৷
ভারতও বেশি পিছিয়ে নেই
শুরুটা হয়েছিল সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন, অজয় শর্মা, মনোজ প্রভাকর ও অজয় জাদেজাকে দিয়ে৷ আজহারের সঙ্গে সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক ক্রনিয়ের টেলিফোন কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০০ সালে৷ আজহার ও অজয় শর্মাকে আজীবন আর প্রভাকর ও জাদেজাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়৷ আজহার দুই বছর আর জাদেজা তিন বছর পর রেহাই পেয়ে যান৷এছাড়া আইপিএল-এ ম্যাচ পাতানোয় ২০১৩ সালে আজীবন নিষিদ্ধ হন শ্রীশান্ত৷
সাউথ আফ্রিকার তিন জন
সবার মতো সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক হানসি ক্রনিয়েও প্রথমে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন৷ পরে অভিযোগ স্বীকার করে আজীবন নিষেধাজ্ঞাও মেনে নেন ক্রনিয়ে৷ তার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হার্শেল গিবস ও হেনরি উইলিয়ামস ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন৷নিষিদ্ধ হওয়ার দুই বছরের মধ্যেই বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ক্রনিয়ে৷
কেনিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা
কেনিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কার একজন করে নিষিদ্ধ হয়েছেন৷ জুয়াড়িদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে কেনিয়ার মরিস ওদুম্বে পাঁচ বছরের জন্য, জুয়াড়িদের তথ্য দেয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্লন স্যামুয়েলস (ওপরের ছবিতে) দুই বছরের জন্য আর তথ্য গোপন করায় নিউজিল্যান্ডের লু ভিনসেন্ট আজীবন এবং শ্রীলঙ্কার কুশল লোকারাচ্চি ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন৷
বাংলাদেশের আশরাফুল আর সাকিব
ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল৷ভুল স্বীকার করায় তিন বছরের সাজা স্থগিত করা হয়৷ ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি গোপন করায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতেন৷ তবে ভুল স্বীকার করায় আপাতত এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হবে তাকে৷ আপিল করলে শাস্তির মেয়াদ আরো কমতে পারে৷