1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যাঙ্গালোরের বিমান দুর্ঘটনায় জীবিত আট

২২ মে ২০১০

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটিতে ছিলেন মোট ১৬৬ জন আরোহী৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাদের মধ্যে অন্তত ১৫৮ জন নিহত হলেও, প্রাণে বেঁচে গেছেন মোট আট জন৷ জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার পরিচালক অনুপ শ্রীবাস্তভা৷

https://p.dw.com/p/NUdy
রানওয়ে থেকে ছিটকে উপত্যকায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় বিমানটিতেছবি: AP

প্রথমদিকে বিমানের সব যাত্রী নিহত হয়েছে একথা বলা হলেও, এখন অন্তত আটজন যাত্রীর বেঁচে থাকার কথা জানিয়েছে প্রশাসন৷ কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভি এস আচার্য শনিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, এই আটজনের মধ্যে ছয়জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এবং এঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর৷

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানটি শনিবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্নাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরে অবতরণ করার চেষ্টা করে৷ কিন্তু মুহূর্তেই রানওয়ে থেকে ছিটকে দেয়াল ভেঙ্গে বিমানটি বিমানবন্দরের বাইরে পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলে গিয়ে পড়ে৷ স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, উপত্যকায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় বিমানটিতে৷

Air India Flugzeuge
এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি বিমানছবি: AP

এনডিটিভি, সিএনএনআইবিএন সহ ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলির সূত্র অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে রওনা দেওয়া ঐ বিমানটির বৈমানিকরা পাহাড়ের ওপর অবস্থিত ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দর সম্পর্কে ওয়াকিবহল এবং অভিজ্ঞ ছিলেন৷ এদিকে, এয়ার ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক সুনিল কৃষ্ণান জানিয়েছেন যে, উদ্ধারকাজ শুরু হলেও, প্রচণ্ড ধোঁয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে এখনো৷ প্রসঙ্গত, বিমানের সব যাত্রী ভারতীয় বলে জানান এয়ার ইন্ডিয়ার দুবাই শাখার কর্মকর্তারা৷

অন্যদিকে, এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন৷ নিহতদের পরিবার প্রতি দুই লক্ষ ও আহতদের পরিবার প্রতি ৫০ হাজার রূপি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে৷

উল্লেখ্য, এক দশকের মধ্যে এটাই ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ / ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম / সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়