1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন আবিষ্কার

২৫ মার্চ ২০১২

ভল্ফগ্যাং আমেদিউস মোৎজার্ট সৃষ্ট আরও একখানা নতুন পিয়ানো সুর আবিষ্কার করা গেল অস্ট্রিয়ায়৷ চার মিনিটের এই সঙ্গীত যখন শিল্পী তৈরি করেন, তাঁর বয়স ছিল বড়ৃজোর দশ বছর৷

https://p.dw.com/p/14Rqs
ছবি: ullstein bild - Lebrecht Music & Arts Photo Library

১৭৬৭ কিংবা খুব বেশি হলে ১৭৬৮ সালের কথা৷ বিশ্ববিশ্রুত সঙ্গীত রচয়িতা মোৎজার্টের বয়স তখন মাত্র বছর দশেক৷ প্রতিভা এভাবেই কথা বলে৷ সুতরাং, সেই বয়সেই একটা সুর রচনা করেছিলেন শিল্পী৷ সেই সুরের সন্ধান মিলল সম্প্রতি এই ২০১২ সালে অস্ট্রিয়ায়৷

এই পিয়ানোর সুর যে মোৎজার্টেরই সৃষ্টি, সে বিষয়ে মোটের ওপর নিশ্চিত জার্মান সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ হিলডেগার্ড হেরমান স্নাইডার৷ কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, যে নোটবুকটি বাড়ির চিলেকোঠায় মিলেছে, তাতে ওই কম্পোজিশন বা সুরের ঠিক নীচে মোৎজার্টের নাম লেখা আছে এইভাবে, ‘দেল সিনোরে গিয়োভানে ভল্ফগ্যাংও মোৎজার্ট৷' হেরমান স্নাইডার বলছেন, এভাবেই নিজের ছেলের নাম লিখতেন মোৎজার্টের পিতা লেওপোল্ড মোৎজার্ট৷ একই মত পোষণ করছেন সালজব্যুর্গের মোৎজার্ট ফাউন্ডেশন৷ সুতরাং এ বিষয়ে খুব কিছু সন্দেহ থাকছে না যে, অমর সুরশিল্পী মোৎজার্টের আরও একটি অশ্রুত সুরের সন্ধান পেল এই বিশ্ব৷

Menuett von W. A. Mozart Musiknoten
ছবি: picture-alliance/IMAGNO/Oskar Anrather

যে নোটবুক বা ডায়েরিতে এই সুরটি লেখা হয়েছে, তাতে মোট ১৬০ টি পৃষ্ঠা৷ গোটা নোটবুকে সঙ্গীত বিষয়ক অসংখ্য নোট রয়েছে৷ তারিখ ১৭৮০ সালের৷ আর অধিকাংশ কাজই করেছেন মোৎজার্টের পিতা স্বয়ং৷ গোটা ডায়েরিটি স্বভাবতই তাঁর নিজের হাতে লেখা৷

অস্ট্রিয়ার নামজাদা সঙ্গীতকার ফ্লোরিয়ান বিরসাক ইতোমধ্যেই মোৎজার্টের মাত্র ১০ বছর বয়সে সৃষ্ট এই নতুন সুরটি, যার দৈর্ঘ্য চার মিনিটের, সেটিকে মোৎজার্টের ব্যক্তিগত পিয়ানোতে বাজিয়ে শুনিয়েছেন সকলকে৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল আমেদিউস মোৎজার্ট ছেলেবেলায় যে বাড়িতে বসবাস করতেন, সেই বাড়িতেই৷ বলা বাহুল্য, সেই বাড়িরই চিলেকোঠায় আবিষ্কৃত হয়েছে এই নতুন সুর৷

২০০৯ সালে মোৎজার্টের দু'খানা সুর আবিষ্কার করেছিলেন গবেষকরা৷ সেগুলো যখন শিল্পী রচনা করেন, তখন তাঁর বয়স ছিল বড়জোর সাত বা আট৷ সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে মোৎজার্টের অসামান্য প্রতিভা তার প্রমাণ রাখতে শুরু করে দিয়েছিল একেবারে ঘন শৈশব থেকেই৷

একেই তো বলে সৃজনের উচ্চতা৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য