1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মোবাইল অপারেটররা যেন টাকা আয়ের মেশিন'

সমীর কুমার দে ঢাকা
৬ মার্চ ২০১৮

থ্রিজি থেকে ফোরজিতে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ৷ প্রধান তিনটি মোবাইল ফোন অপারেটর সেবা দেয়াও শুরু করেছে৷ কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে মোবাইল অপারেটররা যে ব্রিটিশ বেনিয়া৷ বাতাস বেঁচে পয়সা নিয়ে যাচ্ছে যেন তারা৷

https://p.dw.com/p/2tdb3
Nokia Mobiltelefone
ছবি: Getty Images/H.Saukkomaa

বলা বাহুল্য মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে হাজারো প্রশ্ন আছে৷ কিন্তু অপারেটরদেরও যে কষ্ট থাকে, থাকে ক্ষোভ, হতাশা৷ এ সব নিয়েই ডয়চে ভেলের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মোবাইল ফোন অপারেটর রবি-র এমডি ও সিইও মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ৷

ডয়চে ভেলে: মোবাইল ফোন অপারেটররা যে সেবা দিচ্ছে তার মান নিয়ে আপনি কি সন্তুষ্ট?

মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ: এ মুহূর্তে অপারেটররা যে সেবা দিচ্ছে, তার তিনটা বিষয় আছে৷ প্রথমত স্পেকট্রাম, দ্বিতীয়ত টেক নিউট্রালিটি এবং তৃতীয়ত ব্যবসায়িক বিষয়৷ এই তিন কারণে সেবা যতটা ভালো হওয়া উচিত, ততটা হচ্ছে না৷ এর জন্য সবচেয়ে বড় যে কারণটার কথা আমি বলব তা হলো স্পেকট্রাম৷ কারণ স্পেকট্রাম যে দামে দেয়া হচ্ছে, ওই দাম নিয়ে বেস্ট কোয়ালিটি সার্ভিস দেয়া কঠিন৷ এখন অবশ্য টেক নিউট্রালিটি দেয়ার কারণে সেবার মানটা উল্লেখযোগ্যহারে উন্নতি হবে৷ আমি বলবো, সেবার মান যে খুব ভালো ছিল তা নয়৷ আবার যে খুব খারাপ ছিল, তাও নয়৷ তবে এখন বড় একটা উন্নতি হবে৷

সেবা নিয়ে গ্রাহকদের হাজারো অভিযোগ৷ সেই অভিযোগকে আপনারা কতটা গুরুত্ব দেন?

‘মোবাইল অপারেটররা যেন টাকা আয়ের মেশিন'

আমাদের ব্যবসাটা হলো বেস্ট কোয়ালিটি সার্ভিস দেয়া৷ আমি মনে করি, প্রতিটি কোম্পানির প্রধান মটোই হলো এটা৷ বাংলাদেশে যে তিনটি কোম্পানি অপারেট করে, তারা সবাই কিন্তু গ্লোবাল কোম্পানি৷ আমরাও সেবাতেই বিশ্বাস করি৷ এখানে একটি কোম্পানি ছাড়া সবাইকে আর্থিকভাবে যুদ্ধ করতে হয়৷ এখানে যে ট্যাক্সসেশন আছে, সেখানে ১০০ টাকার মধ্যে ৪৭ থেকে ৫০ টাকা সরকারকে দিয়ে দিতে হয়৷ আর স্পেকট্রামের যে মূল্য, তারপর আমাদের পক্ষে এর চেয়ে ভালো সেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে৷ আমি বিভিন্ন ফোরামে বলেছি, সরকার যদি আমাদের সহনশীল দামে স্পেকট্রাম দেয় তাহলে রাতারাতি সেবার মান উন্নত হতে পারে৷ সেবাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই, কিন্তু যতটুকু দেয়া দরকার ততটুকু পারছি না৷ ভবিষ্যতে সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে আমরা সেটা করতে পারব৷

মোবাইল সেবার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই মুহূর্তে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

আগে সরকারকে ঠিক করতে হবে তারা এটাকে কীভাবে নেবে৷ যদি মানি কালেকশনের বিষয় হয় তাহলে ভিন্ন কথা৷ আর যদি জনগণের মধ্যে সেবা পৌঁছে দিতে চায়, তাহলে তাদের কাছে ৪৫ শতাংশ স্পেকট্রাম আইডল পড়ে আছে৷ এটা ভবিষ্যতে ব্যবহার হবে না৷ এখন সরকার যদি ওই ১৭৭ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম একটা নমিনাল প্রাইসে আমাদের দেয়, তাহলে আমরা রাতারাতি সেবার মান উন্নত করতে পারব৷ দ্বিতীয়ত, গ্রাহকরা দেখে আমরা তাদের সেবা দিচ্ছি, কিন্তু আমাদেরও সাপোর্ট পেতে হয় বিভিন্ন ইউনিট থেকে৷ এটা গ্রাহকদের অনেকেই জানেন না৷ এখানে ফাইবার একটা বড় ইস্যু৷ ফোরজিতে ফাইবার একটা বড় রোল প্লে করবে৷ এনটিটিএন অপারেটর আছে, আইসিএক্স, আইজিডাব্লিউ অপারেটর আছে৷ কন্টেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডাররা আছেন৷ তাদের যদি কোনো কিছুতে বিঘ্ন ঘটে, প্রতিনিয়তই সেটা ঘটছে, যেমন বিদ্যুৎ থাকে না – সেখানে আমাদের কোনো হাত নেই৷ আমাদের প্রতিবেশী দেশেও আছে ইউনিফাইড লাইসেন্সিং৷ আমাদের এখানেও যদি সেটা দেয়া হয়, তাহলে যে অভিযোগগুলো আসে তার অনেক কিছুই আমরা কমিয়ে আনতে পারব৷ সেটা হলে আমরা ফাইবার ডিল করতে পারব, টাওয়ার ডিল করতে পারব – সেখানে আমরা বেস্ট কোয়ালিটি সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারব৷

গত কয়েক বছরে গোটা বিশ্বেই মোবাইল প্রযুক্তিতে বড় পরিবর্তন এসেছে৷ বাংলাদেশ কি তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে? মোবাইল ফোনের সেবা সামনের দিনে কোন দিকে যাচ্ছে?

আমরা থ্রিজি অনেক দেরিতে শুরু করেছি, অনেক দেরিতে শুরু করেছি ফোরজি সেবাও৷ তবে একটা বিষয় বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না৷ আমরা থ্রিজিতে এবং ফোরজিতেও বড় বড় কনসালটেন্ট নিয়োগ করেছিলাম৷ সেখানে আমরা দেখেছি, আমাদের এখানে সাফল্যের হার আশেপাশের দেশের তুলনায় অনেক বেশি৷ ৩০ শতাংশে পৌঁছাতে তাদের ৬-৭ বছর লেগেছে৷ সেখানে আমরা দুই, আড়াই বছরেই পৌঁছে গেছি৷ ওই হিসেবে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগোচ্ছে৷ তবে এটা আরো এগোতে পারত যদি ট্যাক্সটা কমানো যেত৷ সরকার আসলে আমাদের মানি কালেকশন মেশিন হিসেবে বিবেচনা করছে৷ এখানে যদি সরকার রিকনসিডার করত, তাহলে আমাদের যে ডেভেলপমেন্টটা হচ্ছে, সেটা আরো বেশি হতে পারত৷ 

মোবাইল ফোনের সেবা দিনকে দিন ভয়েস-এসএমএস থেকে ডেটার দিকে চলে যাচ্ছে৷ এক্ষেত্রে স্থানীয় কনটেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা কি যথেষ্ট পরিমাণ স্থানীয় কনটেন্ট তৈরি করতে পারছি?

এই রেভলিউশনটা শুরু হয়েছে৷ আমি বলব না যে যথেষ্ট কনটেন্ট আছে৷ এখন যা আছে, তার অধিকাংশই বিদেশি কনটেন্ট এবং লোকাল এন্টারটেনমেন্ট কনটেন্ট৷ এক্ষেত্রে রবি মিউজিক কনটেন্ট করছে, আমরা বাংলা ডাবিংও শুরু করে দিয়েছি৷ এখন আমরা এডুকেশন বা ফার্মিংয়ের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি৷ আপনারা যদি দেখেন বিকাশের যে সাফল্য, সেটা তারা কিন্তু রবির মাধ্যমেই শুরু করেছিল৷ আমরাই একমাত্র পার্টনার ছিলাম৷ রবি বিভিন্ন সেক্টরে এটা নিয়ে কাজ করছে৷ এই কাজের মাধ্যমেই কিন্তু বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি হবে৷

ফোরজি নিয়ে চারিদিকে গ্রাহকদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে৷ অপারেটররা কি সেই আকাঙ্খা পূরণ করতে পারবে? আপনাদের প্রস্তুতি কেমন?

অন্যদের কথা বলতে পারব না, তবে আমরা একদিনেই ৬৪ জেলায় ফোরজি সেবা চালু করেছি ১৫০০ সাইট (টাওয়ার) দিয়ে৷ এখন দেশে কিন্তু মাত্র ১০ ভাগ মানুষের কাছে ফোরজি ব্যবহারের উপযোগী সেট আছে৷ এ ধরনের ডিভাইস যদি বাড়ানো না যায় তাহলে বড় পরিসরে এর সেবা পাওয়াটা কঠিন হবে৷

আপনি স্পেকট্রাম নিয়ে বলছিলেন, আমরা যদি উলটোভাবে বলি – পর্যাপ্ত স্পেকট্রাম অবিক্রিত থাকার পরও আপনারা কেনেননি৷ যেটা কিনেছেন তা দিয়ে কি সব গ্রাহককে সঠিকভাবে ফোরজি সেবা দেয়া সম্ভব?

আমি তো আগেও বলেছি, আগের যে সেবা ছিল, তা থেকে আমাদের সেবা এখন উল্লেখযোগ্যহারে বাড়বে৷ এর বড় কারণ টেক নিউট্রালিটি৷ আগে আমরা ২১০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম দিয়ে ডেটা সার্ভিস দিতে পারতাম৷ এখন টেক নিউট্রালিটির কারণে আমরা ১৮০০ বা ৯০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম দিয়েও ডেটা সার্ভিস দিতে পারব৷ তবে আপনাদেরও একটা জিনিস বুঝতে হবে যে, সবাই আর্থিকভাবে সংগ্রাম করছে৷ রবির কথা যদি বলি, গত ১৭ বছরে আমরা বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেছি৷ কিন্তু আমরা আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের এক পারসেন্টও ডিভিডেন্ট দিতে পারিনি৷ আমাদের অন্য যে প্রতিযোগীরা আছে, একজন ছাড়া তাদের অন্যদের অবস্থা আমাদের চেয়েও খারাপ৷ এই অবস্থায় এত দামে স্পেকট্রাম কিনে সেবা দেয়া আমাদের ক্ষমতার মধ্যেই পড়ে না৷ এর থেকে যদি ভালো সেবা সরকার আমাদের কাছে চায়, তাহলে বিষয়টা সহনশীল করতে হবে৷ একজন গ্রাহককে ১০০ টাকা রিচার্জ করতে হলে বিভিন্ন ফর্মে ২১ টাকা অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে৷ আমাদের ৪৭ থেকে ৫০ টাকা দিয়ে দিতে হচ্ছে৷ আমাদের পক্ষে এই দামে এর চেয়ে বেশি স্পেকট্রাম কেনা অসম্ভব৷

দেশে থ্রিজি-র ব্যর্থতা আপনারাই স্বীকার করে নিয়েছেন৷ ব্যর্থতার পেছনের কারণ কী বলে মনে করেন? এখানে অপারেটরদের দায়ই বা কতটা ছিল?

এখানে সবগুলো অপারেটরকে সাধুবাদ জানাতে হবে৷ প্রথমত আমরা থ্রিজিতেও খুব বেশি দামে স্পেকট্রাম কিনেছিলাম৷ আমার কাছে ২০১৬ সালের যে তথ্য আছে, তাতে আমরা সবগুলো অপারেটর মিলে থ্রিজিতে ৩২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম৷ ২০১৬ সাল পর্যন্ত আমরা ৬ হাজার কোটি টাকা রেভিনিউ আয় করেছি৷ যে যাই বলুক, থ্রিজি লঞ্চ করার ফলে আমরা হিউজ লস করেছি৷ এখন ফোরজি আসার ফলে এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই টেকনোলজিটা ডেড হয়ে যাবে৷ আমাদের শেয়ারহোল্ডারা যে বিনিয়োগ করেছে, সেই টাকা উঠার কোনো চান্স নেই৷ আরেকটা দিক হলো – আমরা থ্রিজিতে ৫৫ শতাংশ মানুষকে কভারেজের মধ্যে এনেছি৷ কিন্তু ব্যবহার করছে সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ মানুষ৷ গ্রাহকরা অনেক কথাই বলতে পারে, কিন্তু আমরা যে পরিমাণ কভারেজ দিয়েছি, সেই পরিমাণ কাস্টমার পাইনি৷ এখানে ডিভাইস একটা রোল প্লে করেছে৷ তবে স্মার্টফোন আস্তে আস্তে বাড়ছে৷ সত্যি বলতে কি, অপারেটররা আমাদের দেশের এবং দেশের জনগণের জন্য অনেক বড় একটা উপকার করেছে৷ কিন্তু এটা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়৷ আমাদের সার্ভিস যে খুব ভালো, তা বলব না৷ কিন্তু আমরা যে দামে স্পেকট্রাম কিনি আর যেভাবে সেবা দিচ্ছি, সেটা আশেপাশের দেশের তুলনায় ভালো৷

মাঝে মধ্যেই আর্থিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপারেটরদের আদালতে যেতে হচ্ছে৷ এখানে কি মন্ত্রণালয় বা বিটিআরসি সঠিক ভূমিকা পালন করছে না?

আসলে এখানে সরকারকে আগে ঠিক করতে হবে, এই সেক্টরকে আমি কি টাকা কামানোর মেশিন হিসেবে দেখব, নাকি অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা সেক্টর হিসেবে দেখব৷ আমার মনে হয়, টাকা সংগ্রহই হয়ে যাচ্ছে সরকারের একমাত্র ফোকাস৷ সে কারণে আমাদের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, নেগেটিভভাবে দেখা হচ্ছে আমাদের৷ কিন্তু অর্থনৈতিক অন্যান্য সেক্টর যদি দেখেন, তাদের তুলনায় আমরা অনেক বেশি কর্মীবান্ধব৷ আমরা এত টাকা ট্যাক্স দেই, তারপরও আমাদের বিরুদ্ধেই সব সময় নেগেটিভ প্রচারণা হয়৷

এই সেক্টরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিবন্ধকতা কী? এ নিয়ে আপনার কি কোনো পরামর্শ আছে?

আমি মনে করি, বাংলাদেশের মতো দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো স্ট্র্যাটেজি আছে, যেটা আশেপাশের দেশ অনেক পরে নিয়েছে৷ কিন্তু এটা করতে গেলে টাকাকে ফোকাস করা যাবে না৷ বরং ট্যাক্সে বড় ধরনের একটা পরিবর্তন আনা দরকার৷ গ্রাহকদের সেবা বাড়াতে হলে ট্যাক্স কমিয়ে আনতে হবে৷ একটা উদাহরণ দেই – মালয়েশিয়াতে স্পেকট্রাম বিক্রি হয় ৮ মিলিয়ন ডলারে৷ তাও আবার সেটা ভাগ করে দেয়া হয়৷ বাংলাদেশে এটা বিক্রি হচ্ছে ৩১ মিলিয়ন ডলারে৷ তার মধ্যে ৬০ ভাগ আগে আর বাকি ৪০ ভাগ দুই বছরের মধ্যে৷ পাশাপাশি আমাদের বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, ঘন ঘন নীতিতে পরিবর্তন আসবে না৷ আর শেষ কথা হলো ইউনিফাইড লাইসেন্সিং৷ আমাদের সার্ভিস নিশ্চিত করতে যে সাপোর্ট দরকার, সেটা যেন নিজেরাই করতে পারি৷ এগুলো করা হলে আমি মনে করি আমাদের যে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন আছে, সেটাতে আমরা তাড়াতাড়ি পৌঁছে যেতে পারব৷

মাহতাব উদ্দিন আহমেদের মতে, মোবাইল অপারেটরদের ট্যাক্স আরো কমিয়ে দিতে হবে৷ আপনি কি একমত? লিখুন নিচের মন্তব্যের ঘরে৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য