1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই'

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৯ এপ্রিল ২০১৪

বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশি মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা৷ বলেছেন, ভারতের নির্বাচন কমিশন চাইলেই এটা হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/1BqgS
Indien Narendra Modi Premierminister von Gujarat
ছবি: Sam Panthaky/AFP/Getty Images

বাংলাদেশের মানুষ, ভূখণ্ড এবং ধর্ম নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি এখনও পর্যন্ত যেসব কথা বলেছেন, তা বাংলাদেশের মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলছে৷ মোদী যদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে – তা নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে৷ সর্বশেষ ১৬ই মে-র পর ভারত থেকে ‘অবৈধ বাংলাদেশি' বিতাড়নের যে ঘোষণা তিনি দিয়েছেন, তা স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে৷ বিজেপি অবশ্য দীর্ঘদির ধরেই প্রচার চালিয়ে আসছে যে ভারতে দুই কোটি অবৈধ বাংলাদেশি আছে৷

এর আগে মোদী বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ডের মালিকনা দাবি করেছিলেন৷ বলেছিলেন, পূর্ব ভারতীয় রাজ্যগুলোতে বেকারত্বের মূল কারণ অবৈধ বাংলাদেশিদের অবস্থান৷ এছাড়া বাংলাদেশের হিন্দুদের ভারতে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টিরও চেষ্টা করেছেন তিনি৷

Master.
‘মোদী এবং বিজেপি এখনও পর্যন্ত যেসব কথা বলেছেন, তা বাংলাদেশের মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলছে’ছবি: Reuters

সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মোদী নির্বাচনে জেতার জন্য স্পষ্টতই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে উসকানিমূলক কথা বলছেন৷ যা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক এবং অগ্রহণযোগ্য৷'' তিনি বলেন, ‘‘এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতেও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে৷'' তাঁর মতে, মোদীর বক্তব্য একটি অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, যা ভারতের নির্বাচন কমিশনের খেয়াল রাখা উচিত৷''

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘‘ধর্ম, সম্প্রদায়, জাতি, গোষ্ঠি বা কোনো দেশকে আক্রমণ করা নির্বাচনি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন৷ ভারতের মতো একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণার এই চিত্র গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে আহত করে৷ তাই ভারতের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া৷ তাঁকে নির্বাচনি আচরণ-বিধি মানতে বাধ্য করা৷''

তাঁর কথায়, ‘‘শুধু পাল্টা বক্তব্য নয়, ভারতের অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের উচিত সেখানকার নির্বাচন কমিশনে মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানানো৷''

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আমেনা মহসিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মোদীর এই প্রচারণা কেবল ভোট বাড়ানোর কৌশল নয়, ভারতকে আরও বেশি করে হিন্দুত্ববাদের দিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনারই অংশ৷ কেবল ধর্মীয় কারণে নয়, অর্থনৈতিক কারণেও ভারতের নিম্নবর্গের মানুষ মোদীর এই প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ হবে৷ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া মানুষদের শত্রু বিবচেনা করবে তাঁরা৷''

তিনি বলেন, ‘‘যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা তাদের কথিত ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের' দেশ ছাড়া করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকেই এগোবে৷ এটাই হিন্দুত্ববাদের দর্শন৷''

অন্যদিকে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন পর্যক্ষেক পরিষদ বা জানিপপ-এর চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মোদীর প্রচারণায় ভোটের জন্য যত কৌশল আছে, সবই অবলম্বন করা হচ্ছে৷ তাতে ধর্ম, প্রতিবেশী রাষ্ট্র – কিছুই বাদ দেয়া হচ্ছে না৷ তবে আশার কথা, ভারত একটি বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ৷ সেখানকার নির্বাচন কমিশন স্বাধীন৷ ভারতের গণতন্ত্র একটি শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে৷ তাই এ নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়া বা প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হবে না৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য