পিটিয়ে মারা হলো এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে
৫ জুলাই ২০১৭অতেরা বিবির বাস ছিল সেকেন্দ্রা গ্রাম থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মিথিপুর-পানাগড় গ্রামে৷ তাঁর মানসিক অসুস্থতার দরুণ ২০১৬ সালে তাঁর স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে যান, বলে পুলিশের বিবরণে প্রকাশ৷
২৭শে জুন সেকেন্দ্রা গ্রামে যা ঘটে, অতেরা বিবির পরিবারবর্গ সে সম্পর্কে কিছু জানতে পারেননি কেননা তারা ধরে নিয়েছিলেন যে, বিবি আবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন, বিবি যা প্রায়ই করে থাকতেন: সারা রাত উধাও থেকে সকালে বাড়ি ফিরতেন৷
ঘটনার দিন সকালে অতেরা বিবি দৃশ্যত সেকেন্দ্রা গ্রামের দিকে গিয়ে সেখানে দিলিপ ঘোষ নামের এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢোকেন৷ নিজের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের কাছে বিবিকে দেখে ঘোষ প্রতিবেশীদের সতর্ক করেন, বলে প্রকাশ৷ এর ছ'দিন আগে ঐ গ্রামের এক ১৪ বছর বয়সি কিশোরী, ফুলটুসি ঘোষ, নিখোঁজ হয় – কাজেই গ্রামের বাসিন্দারা আগে থেকেই সজাগ ছিলেন৷
লালবাগ জেলার পুলিশ সুপারের বিবৃতি অনুযায়ী দিলিপ ঘোষের মেয়ে বাড়ির মধ্যে অচেনা এক মহিলাকে দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে পর গ্রামবাসীরা ছুটে এসে বিবিকে মারধোর করতে শুরু করে৷ কয়েক ঘণ্টা পরে পুলিশ এসে হস্তক্ষেপ করে বটে, কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অতেরা বিবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷
কে যে ক্ষিপ্ত জনতার অতেরা বিবিকে বেঁধে রেখে জেরা ও ব্যঙ্গ করার ভিডিওটি মুঠোফোনে তুলেছে অথবা তা আপলোড করেছে, তা অজ্ঞাত – তবে ভারতে ভিডিওটি স্বভাবতই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে, কেননা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা এখন ভারতের অন্যত্রও পরিলক্ষিত হচ্ছে৷
অতেরা বিবি সেই প্রবণতার সর্বশেষ শিকার৷
এসি/ডিজি