1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোল্লারহাটে এখন ‘ধর্ষণ’ হয়েছে!

২১ অক্টোবর ২০১৬

মোল্লারহাটে কি গৃহবধূকে সত্যিই ধর্ষণ করা হয়েছে? সত্যই কি ১৫ দিন ধরে তা চলেছে? নাকি ওই গৃহবধূর সঙ্গে অভিযুক্তের পরকীয়া চলছিল? এসব প্রশ্নে চাপা পড়ছে একজন নারীর, একটি পরিবারের তিনটি অধিকার৷

https://p.dw.com/p/2RViK
Symbolbild - Proteste gegen Vergewaltigungen in Indien
ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ফাইল ছবিছবি: Getty Images/N. Seelam

বিচারের অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে বাঁচার অধিকার৷ দুর্বলের পক্ষে এসব অধিকার রক্ষা করা সবসময়ই কঠিন৷ সেই দুর্বল যদি নারী বা শিশু হয়, তাহলে অধিকার রক্ষা করা আরো কঠিন এবং ওই নারী বা শিশু যদি আবার ‘সংখ্যালঘু'ও হয়, তাহলে তো অধিকার রক্ষা প্রায় অসম্ভব৷

সংবাদ মাধ্যম পাশে থাকলে কিছু ক্ষেত্রে সেই অসম্ভবটিও সম্ভব হয়৷ কিন্তু বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের শোলাবাড়িয়া গ্রামের ওই নারী এবং তাঁর পরিবারের সুবিচার পাওয়া, নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিয়ে বাঁচার অধিকার নিদারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে৷ এবং দুঃখজনক হলেও সত্যি, সংবাদ মাধ্যম এখনো সহানুভূতিশীল বন্ধুর মতো ওই নারীর পাশে দাঁড়ায়নি৷

গত সপ্তাহে মোল্লার হাটের দুটি খবর নজর কেড়েছে৷ প্রথমটি এক জঙ্গিকে ফাঁসি দেয়ার পর তার মরদেহ শ্বশুরালয়ে দাফনের খবর৷ গত ১৫ই অক্টোবর ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যার দায়ে জেএমবির জঙ্গি আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয়৷ জঙ্গি আরিফের শেষ ইচ্ছা ছিল তাকে যেন শ্বশুরালয়ে কবর দেয়া হয়৷ বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার উদয়পুর উত্তর কান্দী গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি৷ তাই ১৬ই অক্টোবর রাত দেড়টায় সেই গ্রামেই তাকে কবর দেয়া হয়৷ জঙ্গি আরিফের ফাঁসি ও দাফনের খবর গণমাধ্যম যথাযথ গুরুত্ব দিয়েই প্রকাশ করেছে৷

কিন্তু শোলাবাড়িয়া গ্রামের ওই নারীর খবরটি শুরুতে কোনো গুরুত্বই পায়নি৷ প্রথমে স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক এবং দুটি মাত্র জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয় খবরটি৷ জাতীয় দৈনিক দুটোর খবর নিয়ে শুরু হয়ে যায় তোলপাড়৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শুরু হয় তুমুল লেখালেখি৷

বেশি আলোচনায় ছিল জনকণ্ঠের প্রতিবেদনটি, যেখানে দাবি করা হয় মোল্লারহাটের ওই গৃহবধূকে তাঁর নিজের বাড়িতেই একরকম জিম্মি করে অনেকদিন ধর্ষণ করা হয়েছে, এক রাতে তাঁর স্বামী প্রতিবাদ করতে গেলে ধর্ষণকারী তলোয়ার চালায় এবং তলোয়ারের কোপ থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে ধর্ষিতার পা কাটে৷

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী ধর্ষিতা নারী কাটা পা নিয়ে ১৫ দিন বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকতে বাধ্য হন৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জনকণ্ঠের এই প্রতিবেদনটি নিয়ে ঝড় শুরুর পরও কিন্তু  সংবাদমাধ্যমের খুব ছোট্ট একটি অংশই সত্যতা যাচাই করে খবরটি প্রকাশ করেছে৷ বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টেলিভিশনের গত ১৮ অক্টোবরের একটি টক শো-র শেষাংশে প্রসঙ্গটি ছিল৷ তবে সেখানে ওই নারী এবং তাঁর পরিবার যাতে সুবিচার পায়, সেই বিষয়টি কোনো গুরুত্ব পেয়েছে বলে মনে হয়নি৷

সেখানে মূলত ছয়টি তথ্য যাচাইয়ের চেষ্টা হয়েছে, এক, ওই নারীকে সত্যিই ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, দুই, তাঁকে ১৫ দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, তিন, অভিযুক্ত ব্যক্তি তলোয়ার দিয়ে নারীর পা কেটেছে নাকি ছুরি দিয়ে, চার, অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ওই নারীর আগে থেকেই (পরকীয়া) সম্পর্ক  ছিল কিনা, পাঁচ, অভিযুক্ত ব্যক্তি সমাজে প্রভাবশালী কিনা এবং ছয়, থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিনা৷ 

এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে একাত্তর তাদের বাগেরহাট প্রতিনিধিকে মোল্লার হাটে পাঠিয়েছিল৷ টক শো-তে সঞ্চালক প্রথমে জনকণ্ঠের ওই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক এবং তারপর নিজেদের বাগেরহাট প্রতিনিধির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন৷ চ্যানেলটির প্রতিনিধির টেলিফোনে দেয়া তথ্যের সঙ্গে জনকণ্ঠের প্রতিবেদনটির বেশ কিছু তথ্য মেলেনি৷ এবং সে কারণে অভিযুক্তের সঙ্গে ওই নারীর আগে থেকেই ‘সম্পর্ক' ছিল কিনা, ১৫ দিন ধরে দূরে থাক, আদৌ একবারের জন্যও ধর্ষণ হয়েছে কিনা এবং তলোয়ার দিয়ে নাকি ছুরি দিয়ে পা কাটা হয়েছে- এসব প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে৷

ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগও আসল ঘটনা জানার চেষ্টা করেছে৷ গত ১৯ অক্টোবর এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ একাত্তর টেলিভিশনের বাগেরহাট প্রতিনিধি বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী যাঁদের সঙ্গে কথা বলে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করেছেন, ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি হারুন উর রশীদ স্বপনও তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ তবে স্বপন সবার আগে কথা বলেছেন বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে৷

Bisnu Prosad Chalrobarti - MP3-Stereo

একাত্তর টেলিভিশনকে যা বলেছেন, টেলিফোনে হারুন উর রশীদ স্বপনকেও ঠিক তা-ই বলেছেন বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী৷ তবে দুটি কথা একটু অন্যরকম ছিল৷ সাক্ষাৎকারের শুরুতেই তিনি বলেছেন, ‘‘আমি আসলে যা জানতে পেরেছি সেইটুকুই আপনাকে বলতে পারি, তবে আমার জানা যে সঠিক হবে, তা বলছি না৷ মানে আমি যতটুকু জেনেছি ততটুকুই আপনাকে বলতে পারি৷'' আর পরে অভিযুক্তের বয়স জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘তার বয়স আঠাশের মতো হবে, পঁচিশ থেকে আঠাশ৷'' 

‘‘আমি আসলে যা জানতে পেরেছি সেইটুকুই আপনাকে বলতে পারি, তবে আমার জানা যে সঠিক হবে, তা বলছি না-'' একাত্তর টেলিভিশনের বাগেরহাট প্রতিনিধির এই কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ইঙ্গিতপূর্ণ৷ একজন সাংবাদিক কয়েকদিন পর ঘটনাস্থলে গিয়ে খুব কম ক্ষেত্রেই খুব তাড়াতাড়ি প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে পারেন৷ এমন বিলম্বিত এবং স্বল্প সময়ের প্রয়াসে প্রকৃত সত্য পুরোপুরি উদঘাটন হয়েই গেছে, এমনটি জোর দিয়ে দাবি করা কি খুব সমীচীন? বিশেষ করে ‘ভিক্টিম' যদি নারী হন এবং তিনি যদি আবার সংখ্যালঘু পরিবারের হন, তাহলে তো সত্য উদঘাটন, অপরাধীর শাস্তি এবং ভিক্টিমের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের নিশ্চয়তার দাবিতে সকলের সোচ্চার হতে হয়৷ দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তা হচ্ছে না৷

খুলনার কয়েকটি স্থানীয় দৈনিক এবং তারপর জনকন্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে যে ১৫ দিন ধরে ধর্ষণ এবং তলোয়ার দিয়ে কুপিয়ে পা কেটে ফেলার কথা লেখা হয়েছে, তা অসত্য হতেই পারে৷ তবে ধর্ষণ না করলে বা তলোয়ার দিয়ে না কেটে ছুরি দিয়ে পা কাটলেই কি ওই গৃহবধূর বিচার প্রাপ্তির অধিকার তুচ্ছ হয়ে যায়?

সুবিচার প্রাপ্তির অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে বাঁচবার অধিকার যদি আদৌ তাঁর থাকে, তা রক্ষায় সংবাদমাধ্যম কি তৎপর?  দুটি জাতীয় দৈনিক এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের কাজ দেখে অন্তত তা মনে হয়নি৷ রং চড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন কখনো কাম্য বা অভিপ্রেত নয়৷ ভুল বা রং চড়ানো খবরের বিপরীতে তথ্যসমৃদ্ধ প্রকৃত খবরটি অবশ্যই বেরিয়ে আসা উচিত৷ তাই বলে এভাবে? এত একপেশেভাবে? বিচারপ্রার্থীর অধিকার এবং মর্যাদার প্রশ্ন এতটা আড়াল করে?

থানায় কী অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেটাই কি শেষ কথা? বা পুলিশ যাহা বলে তাহাই সত্য? নাকি দেশের সর্বত্র ‘ভিক্টিম' খুব সহজে প্রকৃত অভিযোগ নিয়ে বিচারপ্রার্থী হওয়ার সাহস দেখাতে পারে? বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বাগেরহাট জেলা থেকে আরো ৪০ কিলোমিটার দূরের মোল্লারহাটের কোনো এক ইউনিয়নের কোনো এক গ্রাম কি এমনই ‘স্বর্গ'?

ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন মোল্লারহাট উপজেলা মোটর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির মুন্সি৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি ঘটনার রাতে ওই বাড়িতে যাইনি৷ যাই পরের দিন৷ আর ধর্ষণ বা ১৫ দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি৷ আহত হওয়ার পর ১৫ দিন ধরে তাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে নেয়া হয়নি৷ আমি ১৫দিন পর তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাই৷ তাই হয়তো ১৫ দিন নিয়ে ভুল সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে৷'' জনকণ্ঠের প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি পরিষ্কার বলেছেন, ‘‘ওই রিপোর্টটি ভুল৷ ১৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ হয়নি৷ আসলে কোপ খাওয়ার পরে সে ঘর থেকে বের হতে পারত না৷ আমি উদ্ধার করে চিকিৎসায় নেই৷''

তবে তিনি এ-ও বলেছেন, ‘‘ধর্ষণ তো নিত্যদিনের ব্যাপার৷ সে তো (অভিযুক্ত) জোর করে ছোরা ধরে গায়, ওর স্বামীর গলায় ছোরা ধরে, ওর ছেলের গলায় ছোরা ধরে মহিলাকে বাধ্য করেছে এই ব্যবহারগুলো করতে৷ এ তো আগে-পরে অনেক হয়েছে৷ এক বছর ধরে এই জটিলতা৷ ''

মনির মুন্সি

নারীর গলায়, তাঁর স্বামী এবং সন্তানের গলায় ছোরা ধরে ‘এক বছর ধরে' ‘নিত্যদিন' ‘এই ব্যবহারগুলো করতে' বাধ্য করার' মানে কী?

ডয়চে ভেলেকে তো মনির মুন্সি স্পষ্ট করেই বলেছেন কথাগুলো৷ থানার ডায়েরি, ওসির বক্তব্য কিছুর সঙ্গে না মিলিয়েই বলেছেন কথাগুলো৷ দু-দিন পর মনির মুন্সিও যদি অন্য কথা বলেন, আমরা তখন কোনটাকে সত্যি বলব? এখন যা বলছেন এটা, নাকি পরে স্থানীয় ওসির সঙ্গে যে কথা মিলে যায়, সেটা?

একাত্তর টেলিভিশনের ওই টক শো-তে অভিযুক্ত যে মাঝবয়সি নন, একুশ বছর বয়সি, এটা খুব গুরুত্ব সহকারে জানিয়ে কী যেন বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে৷ তবে বয়সটা যে সবসময় প্রতিবেদকের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ থাকে না, তা কিন্তু বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তীর কথাতেই প্রমাণিত৷ তিনি একাত্তরকে অভিযুক্তের বয়স একুশ বললেও ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘আঠাশের মতো হবে, পঁচিশ থেকে আঠাশ৷''

অভিযুক্ত মাঝবয়সি হলেই কী আর তার বয়স ২১ না হয়ে আঠাশ বা আটাশি হলেই বা কী৷ আসল বিষয় তো অপরাধ৷ দেখার বিষয়, ভুক্তভোগী বিচার পেলো কিনা৷

তাছাড়া ধর্ষণের শিকার হলেই কি কোনো নারী এবং তাঁর পরিবার প্রকাশ্যে সে কথা বলতে পারেন? গ্রামীণ সমাজ কি এত অনুকূল? কোনো বিবাহিতা হিন্দু নারীর সঙ্গে এক মুসলিম তরুণের সম্পর্ক সমাজে বিরল হলেও তা হতেই পারে৷ তবে মনির মুন্সি তো ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘ধর্ষণ তো নিত্যদিনের ব্যাপার৷ সে (অভিযুক্ত) তো জোর করে ছোরা ধরে গায়, ওর স্বামীর গলায় ছোরা ধরে, ওর ছেলের গলায় ছোরা ধরে মহিলাকে বাধ্য করেছে এই ব্যবহারগুলো করতে৷ এ তো আগে-পরে অনেক হয়েছে৷ এক বছর ধরে এই জটিলতা৷'' এই তথ্যের কি কোনো গুরুত্বই নেই? কেন নেই? একটি বছর ধরে ওই নারী এবং তাঁর পরিবার কী সয়েছে তা কি কখনো জানা যাবে? প্রমাণ করা যাবে কিছু?

Deutsche Welle DW Ashish Chakraborty
আশীষ চক্রবর্ত্তী, ডয়চে ভেলেছবি: DW/P. Henriksen

একাত্তর টেলিভিশনে যেভাবে স্বামীর নাম প্রকাশ করার মাধ্যমে গৃহবধূর পরিচয়ও প্রকাশ করা হলো, ওই পরিবারটির জন্য কি তা কল্যাণকর হয়েছে? তাঁরা কি আরো অমর্যাদার ঝুঁকি নিয়ে সব কথা বলার সাহস আর দেখাতে পারবে?

আপাতত তিনটি বিষয় পরিষ্কার:

১. জনকণ্ঠ একজন নারী ও তাঁর পরিবারের প্রতি যে অন্যায় হয়েছে তা প্রকাশ করতে গিয়ে ঘটনার বড় একটি অংশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে৷

২. উদয়পুর উত্তরকান্দী গ্রামের এক তরুণ ঝালকাঠিতে গিয়ে বোমা মেরে বিচারক হত্যা করতে পারলে কাছের আরেকটি গ্রামের একটি তরুণ ৫০০ গজ দূরের কোনো সাধারণ সংখ্যালঘু পরিবারের সঙ্গে বর্বর আচরণ করতেই পারে৷ একাত্তর টেলিভিশন এই আশঙ্কাটিকে কার্যত আড়াল করে অভিযুক্তের প্রতি বেশি সহানুভূতি এবং ভিক্টিম গৃহবধূর প্রতি অসম্মান দেখিয়েছে৷ অতীতে সাগর-রুনি হত্যা মামলায় একটি মহলকে ‘পরকীয়া গল্প' ফেঁদে এবং তনু হত্যা মামলায় তনুর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তৎপর হতে দেখেছি৷ সেই তৎপরতা সফল না হলেও দুটো মামলার ভবিষ্যতই কিন্তু অনিশ্চিত৷ মোল্লার হাটের গৃহবধূর সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনাও খুব ক্ষীণ৷

৩. গৃহবধূকে তাঁর নিজের বাড়িতে আগে যদি ধর্ষণ করা না-ও হয়ে থাকে ঘরের বাইরে এখন তাঁর বিচার প্রাপ্তির অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে বাঁচার অধিকারকে একরকম ‘ধর্ষণই' করা হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান