1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোবাইল ‘রোমিং’ চার্জ বাতিল করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

১৪ জুন ২০১৭

ইউরোপের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারেরক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী ঘটনা ঘটছে৷ ১৫ জুন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের আর বাড়তি ‘রোমিং চার্জ’ দিতে হবে না৷

https://p.dw.com/p/2egrK
Polen Frau telefoniert am Strand
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Naupold

এটাকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর বিজয় মনে করা হচ্ছে৷ ব্রাসেলস যে টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানিগুলোর শোষণ থেকে তার নাগরিকদের রক্ষায় সক্ষম তার এক উদাহরণও হতে চলেছে বিষয়টি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে মোবাইল ফোনের রোমিং চার্জ আর থাকছে না৷ অর্থাৎ এক দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী অন্য দেশে গিয়েও একই রেটে ফোনে কথা বলতে বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন৷ তবে জার্মানি এবং স্পেনের একাধিক লবি গ্রুপ এখনো এই প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা রেখে দিয়েছে৷

গত এক দশক ধরেই চলছিল চেষ্টা৷ ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে রোমিং চার্জ প্রত্যাহারের সেই চেষ্টা নানা সময় বাধাগ্রস্ত হয়েছে৷ তবে সাফল্য শেষমেশ ধরা দিল৷ ফলে ইইউভিত্তিক মোবাইল ব্যবহারকারীরা এখন আরো মুক্তভাবে ঘুরতে পারবেন এই অঞ্চলের মধ্যে৷ ফোন, এসএমএস বা ইন্টারনেটের জন্য তাদের আর বাড়তি পয়সা গুণতে হবে না৷ 

তবে নতুন এই প্রক্রিয়ায় এখনো কিছু জটিলতা রয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ যেমন, টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলো এখনো চাইলে অন্য দেশে বসে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারবে৷ আর কিছু দেশের মোবাইল সেবাদাতারা চাইলে তাদের নিজস্ব নিয়মনীতি অনুযায়ী চলতে পারবে৷ ফলে অন্য দেশে যাওয়ার পর একজন মোবাইল ব্যবহারকারীকে বুঝতে হবে যে তিনি কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন৷ সুইজারল্যান্ড, ব্রিটিশ চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জ, মোনাকো, অ্যান্ডোরা এবং সান মারিনো'র ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য৷

জার্মানির ভোক্তা অধিকার বিশেষজ্ঞ সুজানে ব্লোম মনে করেন, নতুন ব্যবস্থায় কিছু অপ্রয়োজনীয় জটিলতা রাখা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি যদি জার্মানি থেকে ছুটি কাটাতে স্পেন যাই, তাহলে সেখান থেকে জার্মানিতে একই রেটে ফোন করতে পারবো৷ কিন্তু জার্মানিতে থাকাকালীন যদি আমি বিদেশে ফোন করি তাহলে আন্তর্জাতিক রেট প্রযোজ্য হবে৷''

ব্লোম মনে করেন, আন্তর্জাতিক কলের বিষয়টিও নতুন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্তির দরকার ছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘ভোক্তা অধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা আন্তর্জাতিক কলের বিষয়টি নতুন আইনে রাখতে বলেছিলাম৷ কিন্তু সেটাকে কখনোই সমঝোতার টেবিলে তোলা হয়নি৷''

ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক কলের বিষয়টি নিয়ে তারা অবগত এবং ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে একটি সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: বেন নাইট/এআই