1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোবাইল ফোন কি মস্তিষ্কের ক্ষতি করে?

১০ আগস্ট ২০১৮

মোবাইল ফোন সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হওয়ার পর অবধি এটির নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে নানা রকম উদ্বেগও সৃষ্টি হয়েছে৷ কিন্তু আমাদের শরীরের উপর মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা ঠিক কতটা জানি?

https://p.dw.com/p/32yYu
ছবি: Getty Images/H.Saukkomaa

নিয়মিত মোবাইল ফোনের সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষতির বিষয়টি নানাভাবে এসেছে৷ বিভিন্ন সময়ে মস্তিষ্কে ক্যানসার, নার্ভের ক্ষতি, এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের সঙ্গে নিয়মিত মোবাইল ব্যবহারের সম্পর্ক রয়েছে বলে নানা মহল থেকে দাবি উঠেছে৷ তবে, এসব শারীরিক ক্ষতির পক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ তার মানে এই নয় যে, মোবাইল ফোন ব্যবহার নিরাপদ৷

রেডিয়েশন কী করে?

মোবাইল ফোন সংক্রান্ত শারীরিক ঝুঁকির বিষয়ে যখন আলোচনা হয়, তখন মোবাইল থেকে ছড়িয়ে পড়া রেডিয়েশনের বিষয়টি অনেকে সামনে টেনে আনেন৷ অতীতে বিভিন্ন গবেষণায় এটাও বলা হয়েছে যে, মোবাইল ফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কে টিউমার সৃষ্টি করতে পারে৷ এই রেডিয়েশন আসলে কতটা ক্ষতিকর? সুইস গবেষক মার্টিন ব়্যুসলির মনে করেন, মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই

বরং মোবাইল থেকে বিচ্ছুরিত রেডিয়েশনকে টিভি এবং রেডিও থেকে বিচ্ছুরিত রেডিয়েশনের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের রেডিয়েশন থেকে সরাসরি কোন ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এটা অসম্ভব৷''

তাহলে কি উদ্বেগের কোনো কারণ নেই?

মোবাইলের রেডিয়েশন ক্যান্সার বা টিউমার ঘটায় না বলার অর্থ এই নয় যে, সেটি একেবারেই মস্তিষ্কের কোনো ক্ষতি করে না৷ অতীতে এক গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল ফোন আমাদের ব্রেনওয়েভে পরিবর্তন আনতে পারে৷ নতুন এক গবেষণা, যেটির সহলেখক ব়্যুসলি, বলছে তরুণ প্রজন্মের স্মৃতিশক্তির উপর মোবাইলের বিরুপ প্রভাব রয়েছে৷

সুইস গবেষকরা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি ৭০০ কিশোর-তরুণের উপর বছরখানেক ধরে গবেষণা করেছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন তাদের মস্তিষ্কের বিকাশের উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে

গবেষণাতে অবশ্য আরো একটি মজার বিষয় বেরিয়ে এসেছে৷ যারা মোবাইল ফোন ডানকানে রেখে কথা বলেন, তাদের উপর এই ক্ষতির মাত্রা বাম কানে মোবাইল রেখে কথা বলাদের চেয়ে বেশি৷ এটা হওয়ার কারণ হচ্ছে, মানুষের মস্কিষ্কের স্মৃতি সম্পর্কিত অংশ ডানদিকে অবস্থিত৷ ফলে বামদিকে মোবাইল রেখে কিংবা হেডফোন বা লাউডস্পিকার ব্যবহার করে কথা বললে এই ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব৷

চার্লি শিল্ড/এআই