মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পথে ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের ঢল নেমেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রে তাদের আশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাচ্ছেন অসংখ্য ইউক্রেনীয় শরণার্থী৷
অপেক্ষা
যুদ্ধের কারণে নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন অসংখ্য ইউক্রেনীয়৷ এখন তারা শরণার্থী৷ যুক্তরাষ্ট্রগামী বাসের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা৷
উষ্ণ আলিঙ্গন
সান ইসিদ্রো সীমানায় ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীরা৷ নিজের দেশ ছেড়ে আসার কষ্টকে সামান্য হলেও লাঘব করতে সাহায্য করছেন তারা৷ শরণার্থীদের উষ্ণ আলিঙ্গনের আন্তরিকতায় জানাচ্ছেন, ‘‘পাশে আছি৷’’
পাশে একাধিক সংস্থা
মেক্সিকোর অভিবাসী কল্যাণ সংস্থা গ্রপো বেটা-র সদস্যরা বর্তমানে অত্যন্ত ব্যস্ত৷ কতজন ইউক্রেনীয় শরণার্থী মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন, সেই সব হিসেব রাখতে হচ্ছে তাদের৷ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে এল চাপারাল বন্দরে শরণার্থীদের সংখ্যা মিলিয়ে দেখে নিচ্ছেন তারা৷
সারি সারি মানুষ
রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে প্রায় ৪০ লাখ ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়েছেন৷ সাধ্যমতো তাদের আশ্রয় দিতে চেষ্টা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে একাধিক দেশ৷ মেক্সিকো পেরিয়ে তাই যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের জীবন নতুন করে শুরু করার চেষ্টায় অসংখ্য ইউক্রেনীয়৷
দেশছাড়া শিশুরাও
ইউক্রেন থেকে নারী ও শিশুদের একটা বড় অংশ অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন৷ একটি শিশুকে তার অভিভাবক আদর করছেন–এমন ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন আলোকচিত্রী৷ শিশু মনস্তত্ত্বে যুদ্ধের প্রভাব কতটা পড়েছে, তা হয়তো ভবিষ্যতই বলতে পারবে৷ আপাতত মায়ের স্নেহছায়াই শিশুদের কাছে অন্যতম উপশম হিসেবে কাজ করছে৷
একটু বিশ্রাম
ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ মেক্সিকোর তিজুয়ানাতে হাজারো শরণার্থীরা ভিড় করছেন৷ ছাউনি দিয়ে ঢেকে আপাতত সারিবদ্ধ বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাদের জন্য৷ যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারাও ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত৷
মোবাইল সচল
যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মুঠোফোন৷ দীর্ঘপথ পেরিয়ে অন্য একটা মহাদেশে পৌঁছে তা সচল রাখা বেশ কঠিন৷ মোবাইল সচল রাখতে তাই সারি সারি চার্জারও রয়েছে৷
পাশে প্রিয়জন
নারী এবং শিশুরাই মূলত ইউক্রেন ছেড়ে আশ্রয়ের জন্য অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন৷ খুব কম পুরুষই দেশ ছেড়ে প্রিয়জনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পেরেছেন৷ তেমন একটি ছবি ধরা পড়েছে সংবাদসংস্থার ক্যামেরায়৷
পোষ্য আগলে
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেও পরিবারের সদস্য পোষা প্রাণীটিকে আগলে রেখেছেন অনেকেই৷ ইউক্রেনীয় শরণার্থী দুই শিশু তাদের পোষা কুকুরটিকে সঙ্গে নিয়ে আশ্রয়ের অপেক্ষা করছে৷ আপাতত তাদের গন্তব্য মেক্সিকোর তিজুয়ানা৷
খেলছে শিশুরা
নিজের দেশ, প্রিয় ঘর সব ছেড়ে আসতে হয়েছে খুদে শিশুদের৷ শরণার্থী শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সহায়তা করে খেলাধুলা৷ সাবানের ফেনা নিয়ে ‘বাবল গেম’-এ মেতেছে দুই শিশু৷
সংগীত সেরা অস্ত্র
যে কোনো পরিস্থিতিতে মন ভালো রাখার কার্যকর দাওয়াই সংগীত৷ যুদ্ধের সময় দেশ ছেড়ে আসা ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য, বিশেষ করে শিশুদের জন্য মেক্সিকোর তিজুয়ানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বেনিতো খুয়ারেজ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গানবাজনার ব্যবস্থা করেছে৷ সেখানে পারফর্ম করেছে মারিয়াচি ব্যান্ড৷ যন্ত্রের তালে এক শরণার্থী শিশু মাথা দোলাচ্ছে দিব্যি৷