1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফ্রান্স

মে দিবসের মিছিলে গোলমাল তুরস্ক ও ফ্রান্সে

২ মে ২০২২

মে দিবসের দিন বিশ্বজুড়েই মিছিল হয়। সরকারের নীতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই মিছিল ঘিরেই ফ্রান্সে সহিংসতা এবং তুরস্কে বহু মানুষ গ্রেপ্তার।

https://p.dw.com/p/4AhH2
মে দিবসের মিছিলে সহিংসতার পর প্যারিসের ছবি।
মে দিবসের মিছিলে সহিংসতার পর প্যারিসের ছবি। ছবি: Julien Mattia/MAXPPP/dpa/picture alliance

রোববার প্যারিসে মে দিবসের মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভকারীরা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন।

মিছিলে যোগদানকারী অধিকাংশ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুইটি জায়গায় সহিংসতা হয়। ব্ল্যাক ব্লক নামে একটি গোষ্ঠী প্যারিসের ল্য রিপাবলিক স্কোয়ারে ব্যারিকেড তৈরি করতে চায়। তখন পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। তা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয় বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের অফিসের কাচ ভেঙে দেয়া হয়।

ফ্রান্স জুড়ে ২৫০টি ছোটবড় মিছিল বিভিন্ন শহরে বেরিয়েছিল।

মাক্রোঁর অনেক নীতিই বাম মনোভাবাপন্ন মানুয মানতে চাইছেন না। তার মধ্যে আছে, অবসরের বয়স বাড়িয়ে দেয়া। তাছাড়া জীবনধারণের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। সেটাও প্রতিবাদের অন্যতম বিষয়। মাক্রোঁ সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দক্ষিণপন্থি ল্য পেনের চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পেরেছেন।

প্যারিসে স্কুটারে আগুন ধরানো হয়েছিল।
প্যারিসে স্কুটারে আগুন ধরানো হয়েছিল। ছবি: Le Pictorium/IMAGO

তুরস্কে গ্রেপ্তার বহু

তুরস্কে মে দিবসের প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয় এবং বহু মানুষকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইস্তাম্বুলের গভর্নরের অফিসের সামনে প্রতিবাদ মিছিল হয়। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা 'মে দিবস দীর্ঘজীবী হোক' বলে স্লোগান দেন। শ্রমিক ঐক্য ও স্বাধীনতার কথা বলেন। কিন্তু প্রতিবাদকারীরা সেন্ট্রাল তাসকিন স্কোয়ারে পৌঁছাবার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। শুরু হয় গ্রেপ্তার।

Türkei | Unruhen zwischen Polizisten und Demonstraten am 1. Mai in Istanbul
তুরস্কে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: DHA

এই তাসকিন স্কোয়ার তুরস্কে মে দিবসের মিছিলের ক্ষেত্রে খুবই উল্লেখযোগ্য স্থান। ১৯৭৭ সালে এখানে যখন পাঁচ লাখ মানুষর মিছল হচ্ছিল, তখন আক্রমণকারীরা গুলি চালায়। ৩৪ জন মারা যান। কারা গুলি চালিয়েছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

গ্রিস ও কলম্বোয় প্রতিবাদ

গ্রিসে শ্রমিকদের প্রতিবাদের ফলে মেট্রো রেল চলেনি। বন্দরেও কাজ হয়নি। ১০ হাজার মানুষ এথেন্সের কেন্দ্রস্থলে গিয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার প্রতিবাদ দেখিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় মে দিবসে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদে সামিল হন। কলম্বোতে বিশাল মিছল হয়। শ্রীলঙ্কায় এখন আর্থিক সংকট চলছে। তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন মানুষ।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)