1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুহিবুল্লাহ হত্যা নিয়ে সরব অ্যামেরিকা

১ অক্টোবর ২০২১

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহের হত্যা নিয়ে মুখ খুলল অ্যামেরিকা এবং জাতিসংঘ। দ্রুত এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়েছে তারা।

https://p.dw.com/p/417WS
মুহিবুল্লাহ
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS

বুধবার বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যা করা হয়েছিল রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে। অঙ্গাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে তাকে গুলি করে বলে অভিযোগ। মুহিবুল্লাহের হত্যা নিয়ে বিবৃতি দিল অ্যামেরিকা। স্বয়ং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে টুইট করে বিবৃতি দিয়েছেন।

অ্যান্টনি ব্লিংকেন লিখেছেন, 'পৃথিবী মুহিবুল্লাহকে মনে রাখবে তার কাজের জন্য। রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে বহু কাজ করেছেন তিনি। মুহিবুল্লাহ ছিলেন সাহসী নেতা। তার হত্যার ঘটনায় আমরা মর্মাহত।' শুধু তাই নয়, মুহিবুল্লাহের হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ব্লিংকেন।

একইভাবে ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি ট্রেম্বলে বলেছেন, 'বাংলাদেশি প্রশাসনের কাছে আমরা এই ঘটনা নিয়ে দ্রুত তদন্তের আর্জি জানিয়েছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।'

সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ নিহত

সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে বাংলাদেশের ইনভেস্টিগেটিং অফিসার শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, ''ঘটনার তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।'' ক্যাম্পের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে প্রশাসন এখনো পর্যন্ত কারা এই হত্যার পিছনে জড়িত, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের যোগাযোগের বিষয়টিও সামনে আনেনি।

মুহিবুল্লাহের ভাই অবশ্য সরাসরি সন্ত্রাসী যোগের অভিযোগ তুলছেন। তার বক্তব্য, আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি আর্মি (এআরএসএ) বা আরসা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। মুহিবুল্লাহকে তারা হুমকি দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তার ভাই এবং বন্ধুরা।

দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছিলেন মুহিবুল্লাহ। তিনি জেনেভায় জাতিসংঘের সভায় বক্তৃতা করেছেন। দেখা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছিলেন তিনি।

এসজি/জিএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স)