মুসলিমদের জীবনে করোনার প্রভাব

২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে৷ সৌদি আরবেও বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা৷ সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, স্থানীয়দের জন্য ওমরাহ স্থগিত রাখা হয়েছে৷ বড় জনসমাগম থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাস সংক্রমণ, তা রোধ করতেই এই পদক্ষেপ, জানিয়েছে তারা৷

ওমরাহ পালনের জন্য বিদেশিদেরও সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ তবে এবছরের হজ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি৷

ইরানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা সংক্রমণ৷ জুম্মার নামাজ থেকে সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করতে সব বড় শহরগুলিতে জুম্মার নামাজের জমায়েত আপাতত বন্ধ রাখতে উপদেশ দিয়েছে সরকার৷ এর বদলে বাসায় নামাজ পড়তে অনুরোধ করা হয়েছে৷

মুসলমানদের বিষয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী মাসাগোস জুলকিফলি মসজিদে নিজের জায়নামাজ নিয়ে যেতে মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ এছাড়া কারো সাথে করমর্দন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ আর করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে মসজিদে না যাওয়াই উচিত বলে মনে করেন জুলকিফলি৷

যুক্তরাজ্যের ‘মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেন’ সেই দেশের সবচেয়ে বড় মুসলিম সংগঠন৷ সেই কাউন্সিলের পক্ষে জানানো হয়েছে, ‘‘পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিন সম্পর্কে সচেতনতা ইসলামের মধ্যেই রয়েছে৷’’ স্থানীয় মসজিদগুলিকে যথেষ্ট পরিমাণে জীবাণুরোধক সাবান ও অন্যান্য পণ্য মজুত রাখতে বলেছে তারা৷

মসজিদগুলোকে জুম্মার নামাজ আয়োজন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে৷ পার্সি নববর্ষ নওরোজ আয়োজনও বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে৷