‘মুসলিম নোবেল’ বিজয়ীরা
২০১৫ সাল থেকে প্রতি দুই বছর পরপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদান রাখা ইসলামি বিশ্বের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের ‘মুস্তাফা প্রাইজ’ দিচ্ছে ইরান৷ সায়েন্স ম্যাগাজিন একে ‘মুসলিম নোবেল’ বলে আখ্যায়িত করেছে৷
দ্য মুস্তাফা প্রাইজ
২০১৫ সাল থেকে প্রতি দুই বছর পরপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদান রাখা ইসলামি বিশ্বের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের ‘মুস্তাফা প্রাইজ’ দিচ্ছে ইরান৷ বিজ্ঞান বিষয়ক অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ম্যাগাজিন ‘সায়েন্স’ এই পুরস্কারকে ‘মুসলিম নোবেল’ বলে আখ্যায়িত করেছে৷ বিজয়ীদের পাঁচ লাখ ডলার পুরস্কার দেয়া হয়৷
জাহিনের কারণে আলোচনায় মুস্তাফা প্রাইজ
সম্প্রতি জার্মানির বায়োনটেক ও যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের টিকা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে৷ বায়োনটেক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা তুর্কি বংশোদ্ভূত দম্পতি উগুর জাহিন ও উজলেম টুরেচি৷ ২০১৯ সালে মুস্তাফা প্রাইজ পেয়েছিলেন উগুর জাহিন৷ সেই সময় ক্যানসারের টিকা উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছিল৷
অধ্যাপক আলি খাদেমহোসেনি
রোগের চিকিৎসায় ন্যানো ও মাইক্রো ফেব্রিকেটেড হাইড্রোজেল নিয়ে কাজ করার জন্য ২০১৯ সালে মুস্তাফা প্রাইজ পান তিনি৷ একসময় যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলসে কাজ করা খাদেমহোসেনি বর্তমানে ‘তেরাসাকি ইন্সটিটিউট ফর বায়োমেডিকেল ইনোভেশন’-এ প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে আছেন৷ তিনি ইরানের নাগরিক বলে জানিয়েছে মুস্তাফা প্রাইজ কর্তৃপক্ষ৷
অধ্যাপক উমরান এস. ইনান
আয়নোস্ফিয়ার ও অ্যাটমোস্ফেরিক পদার্থবিদ্যায় অবদানের জন্য তুরস্কের এই অধ্যাপক মুস্তাফা পুরস্কার পেয়েছেন৷ বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন৷
অধ্যাপক হোসেন বাহারভান্ড ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুলআহাদ
পারকিনসন্স রোগ ও চোখের চিকিৎসায় স্টেম সেলের ব্যবহার নিয়ে কাজ করার জন্য অধ্যাপক বাহারভান্ড এবং ক্যানসার নির্নয়ের নতুন পদ্ধতি নিয়ে কাজ করায় অধ্যাপক আব্দুলআহাদকে ২০১৯ সালে মুস্তাফা প্রাইজ দেয়া হয়৷ দুজনই ইরানে কর্মরত আছেন৷
২০১৭ সালে দুজন
দুই কম্পিউটার বিজ্ঞানী তুর্কি-ফরাসি সামি এরোল গেলানবে ও ইরানের অধ্যাপক এম. আমিন শোকরোল্লাহিকে ২০১৭ সালে মুস্তাফা প্রাইজ দেয়া হয়৷ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ছাড়াও অন্য কোনো দেশে বাস করা মুসলিম গবেষক ও বিজ্ঞানীদের এই পুরস্কার দেয়া হয়৷ এছাড়া মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম বিজ্ঞানীদেরও এই পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করার কথা রয়েছে৷
একমাত্র নারী
২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো মুস্তাফা প্রাইজ দেয়া হয়৷ পুরস্কার পাওয়া দুজনের একজন ছিলেন অধ্যাপক জ্যাকি ই-রু ইং (ছবি)৷ সিঙ্গাপুরের এই বিজ্ঞানী ন্যানোপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন৷ অন্য বিজয়ী হচ্ছেন জর্ডানের অধ্যাপক ওমর ইয়াগি৷ তিনিও ন্যানোপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন৷ ইয়াগি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলিতে কাজ করছেন৷