মুর্শিদাবাদে গঙ্গায় ভাঙনের কবলে ঘরবাড়ি, কবরস্থান, শ্মশানঘাট
মুর্শিদাবাদে গঙ্গা গ্রাস করে নিচ্ছে বাড়ি, রাস্তা, কবরস্থান, শ্মশানঘাট, গাছপালা সবই। মানুষ অসহায়। তারা পুনর্বাসনের জন্য তাকিয়ে সরকারের দিকে।
ভাঙনের কোপে
মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ। বর্ষার জল চলে যাওয়ার পরই শুরু হয়েছে ভাঙন। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভেঙেছে সামসেরগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা। একসময় যেখানে ছিল তিনতলা বাড়ি, তা এখন গঙ্গাগর্ভে। ভাঙন এখনো অল্পবিস্তর চলছে।
বাদ যাচ্ছে না কবরস্থান
লালপুর কবরস্থানের সামনের রাস্তা তলিয়ে গেছে গঙ্গায়। এখন দেখলে বোঝার উপায় নেই, সেখানে কোনো রাস্তা ছিল।
কবরস্থানের অবস্থা
ভাঙনের কোপে পড়ে কবরস্থানের অবস্থা শোচনীয়। একটা অংশ ভাঙনের কবলে পড়েছে।
আশঙ্কা বাড়ছে
এই ছবিই বুঝিয়ে দিচ্ছে, অবিলম্বে কিছু না করলে কবরস্থানের আরো বেশি ক্ষতি হতে পারে।
মমতাজ আলির দাবি
কবরস্থানের কেয়ারটেকার মমতাজ আলির দাবি, সরকার অবিলম্বে কবরস্থান মেরামত করার ব্যবস্থা করুক।
শ্মশানের হাল
প্রতাপগঞ্জ মহেশতলা শ্মশান। ভাঙনের ফলে একটা বড় অংশ চলে গেছে গঙ্গাগর্ভে। ১৫টি গ্রামের মানুষ এই শ্মশানের উপর নির্ভরশীল।
চোখের সামনে
স্থানীয় বাসিন্দা নবকুমার সরকার। তিনি চোখের সামনে দেখেছেন, গঙ্গায় কীভাবে চলে গেল শবদাহ করার ঘাট।
থেকে গেছে শুধু
বাড়ি চলে গেছে গঙ্গায়। থেকে গেছে কিছু ইটের দেওয়াল। নীচে শান্ত গঙ্গার ছবি দেখে বোঝা মুসকিল যে, এই নদীই ভয়ঙ্কর হয়ে পাড় ভাঙছে।
বেণী মন্ডল দেখেছেন
চোখের সামনে তিনতলা বাড়ি, সরকারি ভবন গঙ্গায় তলিয়ে যেতে দেখেছেন বেণী মন্ডল। সেই দৃশ্য মনে পড়লে এখনো শিউরে ওঠেন।
গঙ্গা ছাড়েনি কিছুই
গঙ্গায় মিশে গেছে মাঠ, বাড়ি, রাস্তা সবকিছুই। এখন তার কিছু চিহ্ন শুধু চোখে পড়ে।
যাদের বাড়ি আর নেই
প্লাস্টিকের ছাউনিতে বাস করছেন তারা। খোলা মাঠে দিনরাতের অনেকটা সময় কাটছে। তাদের দাবি, পুনর্বাসন দিতে হবে সরকারকে।
আরো ভাঙনের আশঙ্কা
নীচের মাটি নিয়ে গেছে গঙ্গা। অনেক বাড়িঘরের একেবারে কাছ দিয়ে নদী বইছে। সেগুলিও ভাঙনের কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কায় স্থানীয় মানুষ।
বোল্ডারে কাজ হলো না
ভাঙন রোধ করতে ফেলা হয়েছিল বোল্ডার। কিন্তু সেই বোল্ডার ভাঙন রুখতে পারেনি।
ভয়ংকর ছবি
কোনো একটি বাড়ির চাতাল ছিল। এখন বেঁচে আছে সিমেন্টে বাঁধানো একটা অংশ। আশপাশ, নীচের অংশ চলে গেছে গঙ্গায়।
উপায় কী
প্রতিবছর গঙ্গার ভাঙনের প্রসঙ্গ সংসদে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আলোচনা হয়। প্রচুর সুপারিশ করেন সাংসদ, বিধায়করা। কিন্তু কোনোমতে বোল্ডার ফেলে সাময়িকভাবে ভাঙন রোধ করার কাজ হয় মাত্র।
পরের বছর কী হবে?
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, সামনের বছর বর্ষার সময় কী হবে? আর কত বাড়ি, মাঠ, রাস্তা চলে যাবে গঙ্গায়? কতদিন চলবে এই কাহিনি?