1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুম্বই সন্ত্রাসী কান্ডের মূল আসামী আজমল কাসাব আদালতে দোষী সাব্যস্ত

৩ মে ২০১০

সোমবার মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার একমাত্র ধৃত আসামী আজমল কাসাবকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মুম্বই-এর এক বিশেষ আদালত৷ শাস্তি ঘোষণা করা হবে আগামীকাল৷ এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম৷

https://p.dw.com/p/NDUv
মুম্বই সন্ত্রাসী কান্ডের আসামী আজমল কাসাবছবি: AP

এক ঐতিহাসিক রায়ে সোমবার ২৬-১১এর মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার একমাত্র জীবিত ও ধৃত আসামী পাকিস্তানি নাগরিক আজমল কাসাবের বিরুদ্ধে আনীত ৮৬টি অভিযোগের সবকটিতেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন মুম্বই-এর বিশেষ আদালতের বিচারপতি এম.এল তাহিলিয়ানি৷ এই ৮৬টি অভিযোগের মধ্যে আছে ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ষড়যন্ত্র এবং হত্যা ইত্যাদি৷ রায় ঘোষণার পর সরকার পক্ষের কৌঁসুলি উজ্জল নিকম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঐ হামলায় নিহত হন ১৬৬ জন, তাঁর মধ্যে ২৫ জন বিদেশি৷ কাসাবের অপর দুই ভারতীয় সহ-আসামী সাহাবুদ্দিন আহমেদ ও ফাহিম আন্সারি যথেষ্ট প্রমাণাভাবে ছাড়া পেয়ে যায়৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁরা হামলার লক্ষস্থলগুলির নক্সা ও ম্যাপ পাচার করেছিল পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈয়বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে৷ সরকারি কৌঁসুলির মতে, সাহাবুদ্দিন ও ফাহিম আনসারির ক্ষেত্রে এটা চূড়ান্ত রায় নয়৷ এরা দুজন ছাড়া পেতে পারেনা৷ উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে৷ দোষী সাব্যস্ত হয়েছে শুনে আজমল কাসাব কান্নায় ভেঙে পড়ে৷

এই রায়ে সন্তোষ ব্যক্ত করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম বলেন বিচারের রায় পাকিস্তানের প্রতি এক জোরালো বার্তা৷ কাসাবের ন্যায় বিচার হয়েছে৷ ভারতীয় আইন অনুসারে কাসাব আত্মপক্ষ সমর্থনের সব সুযোগ পেয়েছে৷ বিচার হয়েছে প্রকাশ্যে৷

কাসাবের শাস্তি ঘোষণা করা হবে আগামীকাল, উভয় পক্ষের কৌঁসুলির সওয়াল জবাবের পর৷ মামলা শুরুর ১৩ মাসের মধ্যে রায় ঘোষণা এক বিরল নজির৷ মোট প্রায় ১১ হাজার পাতার চার্জশিট দাখিল করা হয়৷ সাক্ষ্য নেওয়া হয় ৬৫০ জনের৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঐ হামলায় হতাহতদের পরিবার পরিজন, সাধারণ মানুষ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই-এর তদন্তকারীরা৷ মুম্বই-এর আর্থার রোড জেলে বসে এই আদালত৷ কাসাবকে রাখা হয় সেই জেলেই৷ সোমবার সকাল থেকেই আর্থার জেলের চারপাশে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা৷

এই রায় ভারত-পাকিস্তানের শান্তি আলোচনায় কোন প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷ কারণ দুদেশের শান্তি আলোচনা বানচাল করাই সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য৷ দরকার হলে আবারও তারা হামলা করতে পারে৷ যদিও ভারতের অভিযোগ, এই হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল পাকিস্তানে, কিন্তু পাকিস্তান সেই সব ষড়যন্ত্রকারীদের এখনও শাস্তি দিতে পারেনি৷ ভারতের অভিযোগের উত্তরে পাকিস্তান বলেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে৷

প্রতিবেদক : অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক