মুম্বই ভোলেনি ২৬/১১’র স্মৃতি
২০০৮ সালের ২৬শে নভেম্বরে সন্ত্রাসী হামলায় মুম্বইয়ে মারা যান ১৭৪ জন৷ গোটা শহর জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার চালানো ওই হামলার আতঙ্কে ছিল তিন দিন৷ দশ বছর পর কীভাবে মুম্বই স্মরণ করলো সেই দিনটিকে, দেখুন ছবিঘরে...
কী হয়েছিল সেদিন?
২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বই শহরে চারদিনব্যাপী সন্ত্রাসী হামলা চালায় ইসলামি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা৷ ২৬শে নভেম্বরে বিখ্যাত তাজ হোটেলের পর আরো ১২টি জায়গায় হামলা করে জঙ্গি সংগঠনটির দশ সদস্য৷ লিওপোল্ড ক্যাফে, কামা হাসপাতাল, নরিমান হাউস ও ছত্রপতি শিবাজী রেল টার্মিনাসের মতো জনবহুল জায়গায় একাধিক হামলায় সব মিলিয়ে প্রাণ হারান ১৭৪জন৷ ছবিতে তাজ হোটেলের শেফ হেমন্ত ওবেরয়৷ সেদিন ৩০জনকে বাঁচিয়েছিলেন তিনি৷
মুম্বই পুলিশের শ্রদ্ধা
সেদিনের এই ভয়াবহ ঘটনায় ১৫জন পুলিশকর্মী মারা যান৷ দশ বছর পর, মৃত সহকর্মী ও অন্যান্যদের উদ্দেশ্যে মুম্বই পুলিশের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের একটি দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ওপরের ছবিতে৷
পরিবারের শ্রদ্ধা...
২৬শে নভেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারানো পুলিশকর্মীদের মধ্যে ছিলেন ইন্সপেক্টর বিজয় সালাসকর৷ ছবিতে তাঁর মেয়ে দিব্যা সালাসকারকে দেখা যাচ্ছে মুম্বইয়ের পুলিশ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে৷
রেল স্টেশনে শহীদ-স্মৃতি
আজমল কাসাব ও ইসমাইল খান নামের দুই জঙ্গি মুম্বইয়ের ব্যস্ততম রেল স্টেশন ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়৷ পুলিশের সাথে গুলি বিনিময়ের ফলে ইসমাইল মারা গেলেও কাসাব জীবিত অবস্থায় ধরা পড়ে৷ পরে তাকে জেরা করেই জানা যায় হামলার সম্পর্কে অন্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য৷ ওপরের ছবিতে সেদিন রেল স্টেশনে প্রাণ হারানো মানুষদের ছবি-সম্বলিত পোস্টার৷
হাসপাতালেও স্মৃতিচারণ
মুম্বইয়ের কামা হাসপাতালের কর্মী এবং রোগীরাও ২৬শে নভেম্বরের হামলা থেকে নিস্তার পায়নি৷হামলার দশ বছর পূর্তিতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন হাসপাতাল কর্মীরা৷
এখনো তাজা সেই স্মৃতি...
ওপরের ছবিটিও এ বছরের ২২শে নভেম্বরের৷ ছবিটি মুম্বই শহরে ইহুদি ধর্মচর্চার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান নরিমান হাউসের৷ এখনো সেই বাড়ির দেওয়ালে রয়েছে হামলার দিনের গুলির চিহ্ন৷