1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুখে শান্তির বার্তা, ঝুলিতে অস্ত্র নিয়ে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতে

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল টেওডোর সু গুটেনব্যার্গ’এর সাম্প্রতিক ভারত সফর জার্মান রাজনীতি জগতে আলোড়ন তুলেছে৷ তিনি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবসার প্রচলিত রীতি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/10GRR
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল টেওডোর সু গুটেনব্যার্গছবি: AP

জার্মান সংবাদমাধ্যমও বিষয়টির উপর মন্তব্য করেছে৷

‘স্যুডডয়চে সাইটুং' লিখেছে, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে ভারত অন্যতম প্রধান দেশ৷ ২০১৫ সালের মধ্যে বিমানবাহিনীর আধুনিকীকরণ করতে চায় সেদেশ৷ এর জন্য কিনতে হবে ১২৬টি নতুন বোমারু বিমান৷ অ্যামেরিকা, রাশিয়া সহ ইউরোপও এই লোভনীয় অর্ডার পেতে মুখিয়ে রয়েছে৷ এরই মধ্যে দুই দিনের সফরে ভারতে গিয়ে প্রায় ৭০০ কোটি ইউরো মূল্যের ‘ইউরোফাইটার'এর হয়ে দরবার করলেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল টেওডোর সু গুটেনব্যার্গ৷ তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘ভারত অবশ্যই বিশাল এক বাজার, আমরাও তার সুযোগ নিতে চাই৷''

সাপ্তাহিক ‘ডেয়ার স্পিগেল'এর অনলাইন সংস্করণে গুটেনব্যার্গ'এর আচরণ সম্পর্কে জার্মানির বিরোধী দলগুলির বিরক্তির উল্লেখ করা হয়েছে৷ বেঙ্গালুরুর এয়ার শো'য় জার্মানির তরুণ এই মন্ত্রীকে দেখেশুনে লোকজন কেমন মুগ্ধ হয়েছে, তার উল্লেখ করে বিতর্কের কারণগুলি পেশ করা হয়েছে৷ ভারতের মতো পরমাণু শক্তিধর দেশ তার প্রতিবেশী আরেক পরমাণু শক্তিধর দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে প্রায় স্থায়ী সংকটের মধ্যে রয়েছে৷ সেই আগুনে আরও ঘি ঢালা জার্মান পররাষ্ট্র নীতির অঙ্গ হতে পারে না বলে বিরোধীরা সমালোচনা করছে৷ তাদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার মত সংকটপূর্ণ এলাকার স্থিতিশীলতা বিপন্ন করা প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের রপ্তানির ক্ষেত্রে জার্মান নীতিমালার বিরোধী৷ ‘নয়ে স্যুরশার সাইটুং' ও জার্মানির আরেক সাপ্তাহিক ‘ফোকুস'ও সবুজ দলের নেত্রী ক্লাউডিয়া রোট'কে উদ্ধৃত করে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভারত সফরকে ঘিরে বিতর্কের বিশ্লেষণ করেছে৷

দৈনিক ‘ডি ভেল্ট' জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যও তুলে ধরেছে৷ বেঙ্গালুরু পৌঁছে গুটেনব্যার্গ বলেন, ‘‘যারা আজ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা করছে, তারা নিজেরাই এককালে আংশিকভাবে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷'' প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী ২০০৮ সালেই ভারতকে ১২৬টি ইউরোফাইটার বিক্রির প্রচেষ্টার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল৷ তখন বার্লিনে ক্ষমতায় ছিল মহাজোট সরকার – অর্থাৎ আজকের বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী দলও এই সিদ্ধান্তের শরিক ছিলো৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়