1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মুখে মিষ্টি কথা, আসলে অত্যন্ত রুক্ষ ইইউ'

২৫ জুলাই ২০১৮

মার্কিন ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য যুদ্ধের কুপ্রভাব টের পেলেও নিজের নীতিতে অটল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার আগে তিনি কড়া ভাষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/322Kj
Deutschland G20 Gipfel Jean-Claude Juncker und Donald Trump
ছবি: Getty Images/S.Gallup

‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতির আওতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাকি বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের পথে এগোচ্ছেন৷ তার পরিণতি এরই মধ্যে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন দেশের একাধিক রপ্তানিকারক৷ বিশেষ করে মাংস রপ্তানির ক্ষেত্রে ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা৷ এই অবস্থায় তাদের ১,২০০ কোটি ডলার অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন৷ অন্য দেশের উপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর নীতির সপক্ষে তাদের যুক্তি, একমাত্র এমন চাপের মুখেই তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বাধ্য হবে এবং অ্যামেরিকার পক্ষে অনুকূল বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হবে৷

এমন প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার বুধবার ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন৷ তার আগে মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন অ্যামেরিকার প্রতি অত্যন্ত খারাপ আচরণ করে আসছে৷ শুধু গত বছরই ইইউ বাণিজ্য ঘাটতির কারণে প্রায় ১৫,১০০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ ‘‘মুখে মিষ্টি কথা বললেও তারা আসলে অত্যন্ত রুক্ষ'', বলেন ট্রাম্প৷ চাপ সৃষ্টি করলে যে কাজ হয়, তার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, মার্সিডিজ ও বিএমডাব্লিউ-র মতো কোম্পানির উপর শুল্ক চাপানোর হুমকি দিতেই দ্রুত ইইউ আলোচনার জন্য কার্যত ভিক্ষা করেছে৷

উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন বাকি বিশ্বের উপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর ক্ষেত্রে বার বার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থের উল্লেখ করছে৷ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাঠামোয় এমন কারণ দেখিয়ে এ ধরনের পদক্ষেপের বিধান রয়েছে৷

বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে শেষ চেষ্টা করতে ইয়ুংকার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন৷ ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তাঁর ঝুলিতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকবে না৷ তার বদলে তিনি নাটকীয় পরিস্থিতি এড়িয়ে সম্ভাব্য উত্তেজনা এড়ানোর চেষ্টা করবেন৷

ইইউ আশঙ্কা করছে, ইউরোপের উপর বাড়তি শুল্ক চাপালে গোটা বিশ্ব বাণিজ্যের উপর তার কুপ্রভাব পড়বে৷ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর এর আগেই শুল্ক চাপিয়েছে অ্যামেরিকা৷ ইউরোপও পিনাট বাটার, হুইস্কি ও মোটরসাইকেলের মতো কিছু পণ্যের উপর শুল্ক চাপিয়ে তার পালটা জবাব দিয়েছে৷ এবার গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানির উপরও শাস্তিমূলক শুল্ক চাপালে জার্মানির মতো গাড়ি রপ্তানিকারক দেশের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস এক টুইট বার্তায় শাস্তিমূলক শুল্কের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, এমন পদক্ষেপ নিলে আখেরে সবারই ক্ষতি হয়৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, ট্রাম্প ইউরোপ মহাদেশকে হুমকি দিতে পারবেন না৷ একবার এমন চাপের মুখে নতি স্বীকার করলে ভবিষ্যতেও ইউরোপকে এমন আচরণের মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করেন মাস৷

এসবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য