1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্হিতি

মারিনা জোয়ারদার১১ এপ্রিল ২০০৮

সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন তিব্বতের ওপর৷ চীন এবং তিব্বতের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, অলিম্পিক গেম্স, বিক্ষোভকারীদের মিছিল এবং প্রতিবাদ সবকিছু মিলে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ মিয়ানমারের পরিস্হিতিও অনেকটা এরকমই৷ মানবাধিকার লংঘনের কারণে মিয়ানমার সংবাদের শিরোনামে এসেছে বেশ কয়েকবা

https://p.dw.com/p/DilP
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অশান্ত আচরণ
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অশান্ত আচরণছবি: AP

��৷

গত বছর মিয়ানমারের বিক্ষোভ মিছিলে যারা অংশগ্রহণ করেছিল তাদের সবাইকে আটক করে কারগারে পাঠানো হয়েছিল৷ সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের শাস্তি ছিল এটা৷ প্রায় ৪০ জনকে বন্দী করা হয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে৷ তাদের মধ্যে ছিলেন ৭ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু৷ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

অনেককেই আটক করা হয়েছিল কোন অপরাধ ছাড়াই৷ তাদের অপরাধ ছিল শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে অনেকেই বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তৃষ্ণা মেটাতে পানি দিয়েছিলেন৷ ঠিক কত বছর তারা কারাগারে বন্দী থাকবে তা কেউ জানেনা৷

মিয়ানমারের সামরিক সরকার প্রায়ই বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং সরকারের সমালোকদের খুঁজে বের করে৷ অনেকে ধরা পড়েছে আবার অনেকেই পায়ে হেটে বন-জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডে পালাতে সক্ষম হয়েছে৷ অনেক ভিক্ষু পলাতক জীবন বেছে নিতে অস্বীকার করে, তারা ফিরে যায় তাদের মঠে৷

যদিও তারা জানতো ফিরে গেলে কি বা কারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কিন্তু তার পরেও তারা পিছপা হয়নি৷ একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু জানালেন, কেউ যদি মিয়ানমারের সামরিক জান্তার কথা বিশ্বাস করে তাহলে বলতে হচ্ছে তার মানবাধিকার লংঘনের খেলা চলতেই থাকবে, আমরা যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন কোন পরিবর্তন হবে না৷ গোটা দেশকেই উঠে দাঁড়াতে হবে এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে৷ আমাদের ওপর শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে, আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, মারা গেছে অনেকে৷ খোলা রাস্তায় মানুষদের মেরে ফেলা হয়েছে, সবই হয়েছে আমাদের চোখের সামনে৷ আমি বলে বোঝাতে পারবো না৷ আমি বার বার ভাবছি কি করে আরো সমর্থন পাওয়া যায়, আমাদের আরো সমর্থনের প্রয়োজন৷ আমাদের সাথে রয়েছে জনসাধারণ, সবাইকে বুঝতে হবে, অধিকার আদায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে৷

মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকা বিষয়ক প্রতিনিধি পাওলো পিনেরো গত চার বছরের মধ্যে প্রথম বারের মত মিয়ানমারে যাবার অনুমতি পান৷ তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি অনুসন্ধান চালাতে চেয়েছিলেন, কি হয়েছিল, কেন অযথা মানুষদের মেরে ফেলা হচ্ছে, কেন তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে৷ তিনি তা জানতে চেয়েছিলেন৷ গত মাসে তিনি মিয়ানমারের ভিসার জন্য আবেদন করলে তা প্রত্যাখান করা হয়৷

মিয়ানমারের পরিস্হিতি সম্পর্কে পিনেরো বললেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত্ এসব অসহায় মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসা, এদেশের ছাত্র-ছাত্রী, নীরিহ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের জীবন বিপন্ন করে রাস্তায় নেমেছেন, প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন৷ মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের স্বাধীনতায় তারা বিশ্বাসী৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসার সময় হয়েছে এই প্রতিবাদকে আরো সক্রিয় করার, আমরা যদি সত্যিকার অর্থে ইতিবাচক কোন পরিবর্তন মিয়ানমারে দেখতে চাই তাহলে, আমাদের সহযোগিতা করতে হবে শুধু কথা বললে হবে না৷