1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

৪০টি দেশের কূটনীতিকরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনের পর বলেছেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের অবশ্যই তাঁদের নিজ দেশে ফেরত নিতে হবে৷ তাঁদের নাগরিকত্বের বিষয়টি সমাধান করতে হবে৷''

https://p.dw.com/p/2ju7T
Rohingya Krise in Bangladesch
ছবি: DW/M.M. Rahman

বুধবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, চীন, ভারত, সৌদি আরবসহ ৪০টি দেশের কূটনীতিকরা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন৷ তাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে যান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মোহাম্মদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক৷ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও সেখানে ছিলেন৷

দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা ক্যাম্প ঘুরে দেখেন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন৷ তাঁরা কোনো আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং না করলেও পরিদর্শনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জোয়েল রাইফম্যান, ইটালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমার ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত  লিওনি কুয়েলেনায়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে বথা বলেন৷ তাঁরা বলেন, ‘‘একসঙ্গে এত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সত্যিই বাংলাদেশ প্রশংসার দাবি রাখে৷ আমরা আন্তরিকভাবে এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরবো৷ মিয়ানমার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাবো, এই হামলা বন্ধ করে তারা যেন স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনে ও রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়৷ রোহিঙ্গাদের এই পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি৷''

কূটনীতিকরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন: আমির হোসেন

তিন কূটনীতিক আরো বলেন, ‘‘আমরা আমাদের নিজ নিজ দেশে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি জানাবো৷ তাঁদের নাগরিকত্বের বিষয়টি অবশ্যই সমাধান করতে হবে৷ রোহিঙ্গাদের অবশ্যই তাঁদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷''

পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘‘দুপুর দেড়টার দিকে তাঁরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প দেখে গাড়িতে উঠার কয়েক মিনিটের মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তের একটি গ্রামে আগুন ও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়৷ তাঁরা তখন গাড়ি বহর থামিয়ে সেই দৃশ্য দেখেন এবং অনেকে সেই দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন৷''

কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা শরণার্থী আমির হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘কূটনীতিকরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন৷ আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ চিকিৎসা ব্যবস্থা দেখেছেন৷ তাঁরা বেশ কিছু সময় এখানে ছিলেন৷''

‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত নেয়াই হচ্ছে একমাত্র সমাধান’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘কূটনীতিকরা সরেজমিন অবস্থা দেখে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে পুরোপুরি ধারণা পেয়েছেন৷ এখন তাঁরা তাঁদের দেশকে জানাবেন৷ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরো ভালোভাবে তুলে ধরার সুযোগ পেলো৷ রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ এবং তাঁদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত নেয়াই হচ্ছে একমাত্র সমাধান৷''

রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ইইউ

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)৷ মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইইউ অতিরিক্ত তিন মিলিয়ন ইউরো মানবিক সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে৷ সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে অধিক সংখ্যায় রোহিঙ্গা শরণার্থী আসার কারণে তারা এই অতিরিক্তি বরাদ্দ দিচ্ছে৷

ইইউ-র মানবিক সাহায্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিশনার ক্রিসটোস স্টাইলিয়ানিডেস গত মে মাসে রাখাইন সফরের সময়ে যে ১২ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষনা দিয়েছিল, এই তিন মিলিয়ন ইউরো তার অতিরিক্তি৷ ক্রিসটোস স্টাইলিয়ানিডেস বলেন, ‘‘এই অতিরিক্ত বরাদ্দ নতুন আসা শরণার্থীদের জরুরি ভিত্তিতে বাসস্থান, পানি, খাদ্য ও স্বাস্থ্য সহায়তা দেবার কাজে ব্যবহার হবে৷''

তিনি বাংলাদেশ সরকারকে এই শরণার্থীদের আশ্রয় দেবার জন্য ধন্যবাদ জানান৷ ইইউ ১৯৯৪ থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারকে ২৩২ মিলিয়ন ইউরো মানবিক সহায়তা দিয়েছে৷ আর বাংলাদেশকে ২০০৭ সাল থেকে এই ইস্যুতে দিয়েছে ১৫৩ মিলিয়ন ইউরো৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান