1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি-মিয়ানমার

২৭ এপ্রিল ২০১২

মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷ মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি'র সাথে আগামী রোববার এবং সে দেশের প্রেসিডেন্ট তেইন সেইন এর সাথে সোমবারে ভেস্টারভেলে'র সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/14lmB
ছবি: Reuters

ইউরোপের ঋণ সংকট পরিস্থিতিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যাখ্যা করতে এবং এ অঞ্চলের গণতান্ত্রিক ধারাকে আরো উৎসাহিত করতে বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে আছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷ এ সফরের অংশ হিসেবে মিয়ানমারেও যাবেন তিনি৷ এটা হল ২৫ বছর পর কোনো জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর৷

রাজনৈতিকভাবে অস্থির দেশটিতে গণতান্ত্রিক পূনর্গঠনের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাকে আরো বেশি উৎসাহিত ও বেগবান করতেই ভেস্টারভেলে'র এই সফর বলে জানা গেছে৷

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক কর্মকর্তা সে দেশেরই বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে বলেন, ‘‘মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংস্কারের যে ঐতিহাসিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, পরিবর্তনের এই ধারাকে আমরা আরো উৎসাহিত করতে চাই৷''

Aussenminister Guido Westerwelle beim Bundesparteitag der FDP in Karlsruhe
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলেছবি: dapd

তিনি আরো বলেন, ‘‘গিডো ভেস্টারভেলের সফর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, মিয়ানমারের সাথে সহযোগিতার নতুন আরেকটি অধ্যায় আমরা শুরু করতে যাচ্ছি৷''

দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় পর এই প্রথম কোনো জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন৷ এর আগে এ বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমার সফর করেন জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী ডির্ক নিবেল৷

Dirk Niebel
জার্মান উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী ডির্ক নিবেলছবি: dapd

মিয়ানমারের দিকে কেন ফিরেছে আন্তর্জাতিক সুদৃষ্টি?

আশির দশকের শেষ দিকে মিয়ানমারে শুরু হয় সামরিক শাসন৷ এ সময় দেশটিতে স্থবির হয়ে আসে গণতান্ত্রিক কার্যক্রম৷ শত শত নেতা কর্মীকে করা হয় জেলবন্দি৷ এই অবস্থায় জান্তা সরকারকে চাপে রাখতেই অ্যামেরিকা ও ইউরোপ দেশটির উপরে জারি করে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা৷

কিন্তু এবার খানিকটা সুবাতাস বইছে মিয়ানমারের রাজনৈতিক অঙ্গনে৷ দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট এর নেতৃত্বে গত এক বছর ধরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সংস্কার৷ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে৷ অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনও৷ এই নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেয়েছেন মিয়ানমারের অবিসংবাদিত নেত্রী অং সান সু চি৷

দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি সময় পর মিয়ানমারে পরিবর্তনের যে ধারা শুরু হয়েছে তাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিশ্ব৷ গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের পথে মিয়ানমারকে সহযোগিতা করতেই আগামী এক বছরের জন্য দেশটির উপর থেকে আন্তর্জাতিক সমাজ তুলে নিয়েছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা৷

মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা বিজয় নাম্বিয়ারও ক'দিন আগে বলেছেন, দারিদ্র্য পীড়িত এই দেশটির রয়েছে জেগে উঠার অসীম সম্ভাবনা৷

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, পরিবর্তনের এই সময়টিতেই জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর হয়তো দেশটির জন্য বয়ে আনবে আরেকটু সুবাতাস৷

প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা, (এফপি, ডিপিএ)

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য