1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে কূটনৈতিক বিদ্রোহ

৫ মার্চ ২০২১

সেনা শাসকদের বিরুদ্ধে এবার কূটনৈতিক বিদ্রোহ। জাতিসংঘ থেকে সেনা শাসকদের প্রতিনিধি পদত্যাগ করলেন।

https://p.dw.com/p/3qEqc
মিয়ানমারে বিক্ষোভে সামিল ইঞ্জিনিয়ার ও ছাত্ররা। ছবি: Str/AFP/Getty Images

মিয়ানমারের সেনা-শাসকদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সরকারি কর্মীরাও ধর্মঘটে নেমে পড়েছেন। এবার সেনা শাসকদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক বিদ্রোহও হলো। চাপের মুখে পড়ে জাতিসংঘে সেনা শাসকদের নিয়োগ করা প্রতিনিধি পদত্যাগ করেছেন। তার জায়গায় ফিরে এসেছেন সেনা শাসকদের সরিয়ে দেয়া প্রতিনিধি কিয়ো মো টুন। এর আগে টুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সব সদস্য দেশের কাছে আবেদন করেছিলেন, সেনা অভ্যুত্থানের আগের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য যেন তারা চেষ্টা করেন। কূটনীতিকদের বিদ্রোহের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।

ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাস থেকেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারে বিক্ষোভের মোকাবিলায় যেন সংযম দেখানো হয়। পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুরও নিন্দা করা হয়েছে। দূতাবাসের একজন কর্মী পদত্যাগ করেছেন। তিনজন কর্মী সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, তারা বিক্ষোভে যোগ দিতে চান।

অন্যদিকে সেনা শাসকরা অভ্যুত্থানের পরেই অ্যামেরিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০ কোটি ডলার তুলে নিতে চেয়েছিলেন। প্রথমে ব্যাঙ্ক কর্তারা সেই প্রয়াস আটকে দেন। তারপর অ্যামেরিকা সেনা শাসকদের সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে। সেনা জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করা হয়েছে যে, ওই ১০০ কোটি ডলার অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্রিজ করা হলো। 

শুক্রবারও মিয়ানমারে বিক্ষোভ হয়েছে। মান্দালয়ে প্রচুর মানুষ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছেন। তাদের হাতে ধরা পোস্টারে লেখা ছিল, ''স্টোন এজ শেষ হয়ে গেছে। যতই আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হোক না কেন, আমরা ভয় পাই না।'' মান্দালয়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের কিছু না বললেও ইয়াঙ্গনে তারা রবার বুলেট চালিয়েছে। এই প্রতিবাদে একশ জন চিকিৎসক সাদা কোট পরে যোগ দিয়েছিলেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেছেন, মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন করতে পুলিশ ভয়ঙ্কর শক্তিপ্রয়োগ করেছে। ২৯ জন সাংবাদিক সহ এক হাজার ৭০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারে যা হচ্ছে, তা জাতীয় লজ্জা। কিন্তু তিনি মনে করেন, বিদেশ থেকে যে চাপ আসছে, তাতে বিশেষ কাজ হচ্ছে না।

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স)