1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরের প্রত্যন্ত এলাকায় সৌরশক্তির সফল প্রয়োগ

৬ মার্চ ২০১৯

মিশরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ একটি কোম্পানি ছোটবড় গ্রাহক ও সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সৌরশক্তির জোগান দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3ET3K
Energiesparmobil startet zum Weltrekord-Versuch
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Haid

পরিবর্তন আনছে সৌরশক্তি

লোহিত সাগরের তীরে জেলেদের ছোট গ্রাম কুলান৷ এই জনপদ এখনো জাতীয় বিদ্যুতের গ্রিডে যুক্ত হয়নি৷ কিছুকাল আগে পর্যন্ত শুধুমাত্র ডিজেল জেনারেটরের মাধ্যমেই সেখানে বিদ্যুৎ পাওয়া যেত৷

বর্তমানে সৌরশক্তি চালিত এক স্থানীয় গ্রিড ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে৷ ফলে জেলেরা তাদের মাছ মজুত করতে পারছে৷ তাঁদেরই একজন মনসুর সাইদ সালেহ৷ তিনি বললেন, ‘‘আগে মাছ ধরেই ১১ কিলোমিটার দক্ষিণে হামাতা অথবা ১৬ কিলোমিটার উত্তরে আবু গুসুনে নিয়ে যেতে হতো৷ দীর্ঘ সেই পথে মাঝেমাঝে মাছ পচে যেত, দুর্গন্ধ বের হতো৷ এখন দিনরাত বিদ্যুৎ থাকার ফলে আমাদের কাছে ফ্রিজার রয়েছে৷ মানুষ আমাদের কাছে মাছ কিনতে আসে৷ ফলে সময় ও পরিবহণের খরচ বেঁচে যায়৷'' প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে মারসা আলম পর্যটন কেন্দ্র অবস্থিত৷ সেখানকার হোটেলগুলি বিদ্যুতের জন্য মূলত ডিজেলচালিত জেনারেটরের উপর নির্ভরশীল৷

একক উদ্যোগ

কিন্তু মারসা শাগরা লজে পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম৷ গোটা বিশ্ব থেকে ডাইভিং করতে মানুষ সেখানে আসেন৷ লজের মালিকরা  সৌরশক্তিতে বিনিয়োগ করেছেন৷ তবে সেই প্রণালী শুধু দিনের বেলায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে৷ অন্ধকার নামলেই হোটেলে জেনারেটর চালাতে হয়৷ তা সত্ত্বেও সৌরশক্তির সাময়িক ব্যবহারের ফলে শুধু পরিবেশেরই ভালো হচ্ছে না, অর্থনৈতিক পর্যায়ও সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে৷ লজের ম্যানেজার রফিক ফারুক বলেন, ‘‘গত ৮ বছরে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির মূল্য অনেক বেড়ে গেছে৷ বর্তমানে জেনারেটর চালিয়ে ১ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রায় ১২ ইউরো সেন্ট ব্যয় হয়৷ অন্যদিকে সৌর প্লান্টে সেই ব্যয় মাত্র ৮ সেন্ট৷ ফলে সৌরশক্তিতে বিনিয়োগের অর্থ ফিরে পেতে ৫ বছরও সময় লাগেনি৷'' 

মিশরে সৌরশক্তির প্রসার ঘটছে

যত দ্রুত সম্ভব পুরোপুরি বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে৷ কার্মসোলার কোম্পানি এই মিনি গ্রিড ও সোলার স্টেশন গড়ে তুলেছে ও তা রক্ষণাবেক্ষণ করছে৷ তারা হোটেলে বিদ্যুৎ বিক্রি করে৷

স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করার নীতি

গামাল আবদ এল কাদের স্থানীয় পর্যায়ে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন৷কার্মসোলার কোম্পানি নীতিগতভাবে স্থানীয় মানুষকেই প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে৷ গামাল বলেন, ‘‘যখন শুরু করেছিলাম, তখন শুধু দিনমজুর হিসেবেই কাজ করতাম৷ গর্ত খোঁড়া, তার বসানো, জিনিসপত্র এদিক-ওদিক নিয়ে যাওয়া – এ সব করতাম৷ সৌরশক্তি সম্পর্কে কিছুই জানতাম না৷ কার্মসোলার কোম্পানির কল্যাণে ধীরে ধীরে শিখতে লাগলাম৷ ইঞ্জিনিয়াররা আমাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন৷''

তিনি প্রতিদিন সৌর প্যানেল পরীক্ষা করেন৷ চারিদিকে এত বালু ওড়ে বলে নিয়মিত সেগুলি পরিষ্কার করা জরুরি৷ স্থানীয় মিস্ত্রীদের জন্য কার্মসোলার কোম্পানির গ্রিড-গুলি পেশার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ বয়ে আনছে৷ গামাল এখন ৩টি সোলার গ্রিডের দায়িত্বে রয়েছেন৷

কার্মসোলার মূলত বড় গ্রাহক ও কোম্পানিগুলির জন্য প্লান্ট নির্মাণ করে৷ তবে এই বেদুইন বসতির মতো ছোট আকারের চাহিদাও মেটায় সেই কোম্পানি৷ বর্তমানে দাতারা তাদের জন্য ২টি সৌর প্যানেলের ব্যবস্থা করেছেন৷ গামাল সেখানে গিয়ে এই মিনি গ্রিডের কর্মপদ্ধতি বুঝিয়ে বলছেন৷

কার্মসোলার সরকারের সঙ্গেও গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত বড় আকারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করে৷ মিশরে সৌরশক্তির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষণ এখনই দেখা যাচ্ছে৷

মিলকে/এল টুনি/এসব

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান