1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশর

২২ ডিসেম্বর ২০১২

মিশরে খসড়া সংবিধানের ওপর গণভোটের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো৷ ভোটের সময় বেশ কিছু অনিয়মের খবর পাওয়া গেলেও পরিস্থিতি মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল৷ তবে বিরোধীদের দাবি, এই সংবিধান প্রণীত হলেও সমস্যা মিটবে না৷

https://p.dw.com/p/1781K
A woman shows her ink-stained finger after casting her vote in the final stage of a referendum on Egypt's new constitution in El Dokki district of greater Giza, south of Cairo, December 22, 2012. Egyptians voted on a constitution drafted by Islamists on Saturday in a second round of balloting expected to approve the charter that opponents say will create deeper turmoil in Egypt. REUTERS/Amr Abdallah Dalsh (EGYPT - Tags: POLITICS ELECTIONS)
ছবি: Reuters

মিশরে গত একমাস ধরে পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ তাদের প্রস্তাবিত সংবিধান নিয়ে৷ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ মুরসি যে সংবিধান জাতির সামনে হাজির করেছেন তা গোটা দেশকে প্রায় দুইভাগে ভাগ করে ফেলেছে৷ একদিকে ইসলামপন্থী ও তাদের সমর্থকরা অন্যদিকে সংখ্যালঘু ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা৷ তবে গণভোটের রায়ের পর একটি আপাত সমাধান মিলবে বলে মনে হচ্ছে৷ গণভোটে মুসলিম ব্রাদারহুডের বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা৷ কারণ এক সপ্তাহ আগে প্রথম পর্বে অনানুষ্ঠানিকভাবে শতকরা ৫৭ ভাগ ভোট পাওয়ার দাবি করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড৷ আর শনিবার যেসব জায়গাতে ভোট হচ্ছে সেখানে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থন বেশি৷ তাই এখানেও তাদের বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে৷

এবারের ভোটে প্রায় আড়াই কোটি ভোটার রয়েছে৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর ভোটার দেখা গেছে৷ একাধিক জায়গায় অনিয়মের খবর পাওয়া গেলেও ভোটের বেলাতে সেগুলো তেমন প্রভাব ফেলেনি৷ এছাড়া মুরসি বিরোধীরা শনিবারও দুয়েকটি জায়গায় সহিংস বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়ে বলে জানা গেছে৷ সোমবার চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে৷

Egyptian riot police try to quell clashes between opponents and supporters of President Mohamed Morsi in the Mediterranean coastal city of Alexandria on December 21, 2012. Running clashes between rival protesters erupted in Egypt's second city Alexandria, on the eve of the final round of a referendum on a new constitution backed by the ruling Islamists. AFP PHOTO/MAHMUD HAMS (Photo credit should read MAHMUD HAMS/AFP/Getty Images)
ভোটের আগের দিন আলেক্সান্দ্রিয়ায় সংঘর্ষছবি: Mahmud Hams/AFP/Getty Images)

ভোটারদের মধ্যে যারা প্রস্তাবিত সংবিধানের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদের যুক্তি হলো, এই সংবিধানে সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি৷ এছাড়া নারীদের বিষয়েও উদাসীনতা দেখা গেছে৷ তাই এই সংবিধান দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে না৷ অন্যদিকে সংবিধান সমর্থক ভোটারদের মতে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে এই সংবিধান প্রণীত হয়েছে৷ অনেকে বলছেন, গত দুই বছর ধরে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে দেশটিতে তার অবসান হওয়াটা বেশি জরুরি৷ তাই এই সংবিধান প্রণীত হলে আপাতত রাজনৈতিক অস্থিরতা কমবে৷

বিরোধীরা বলছে অবশ্য ভিন্ন কথা৷ ফ্রি ইজিপ্শিয়ান পার্টির নেতা আহমেদ সাইদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমি আরও অস্থিরতা দেখতে পাচ্ছি৷ মুসলিম ব্রাদারহুড বিষয়টি নিয়ে যেভাবে খেলছে মানুষ তা গ্রহণ করবে না৷'' অন্যদিকে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহামেদ বাদি বলেন, ‘‘সংবিধান প্রণীত হয় গেলে গোটা দেশ একটি লক্ষ্যমুখে এগুতে শুরু করবে৷''

আরআই/এএইচ (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য