1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজমিশর

মিশরে চার্চে আগুন, মৃত ৪১

১৫ আগস্ট ২০২২

বৃহত্তর কায়রোয় একটি চার্চে রোববার ভয়াবহ আগুন লাগে। দমবন্ধ হয়ে ৪১ জন মারা গেছেন। তার মধ্যে প্রচুর শিশুও আছে।

https://p.dw.com/p/4FWfX
দমকল কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
দমকল কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। ছবি: Stringer/AA/picture alliance

মিশরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে কায়রোর উত্তর-পশ্চিম জেলা ইমবাবাতে। চার্চটির নাম আবু সিফিন কপটিক চার্চ।

রোববারের প্রার্থনায় বহু মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। তখনই চার্চে আগুন লাগে। মিশরে সম্প্রতি আগুন লাগার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ফলে সেদেশে আগুন যাতে না লাগে সেই বিষয়টি খুব ভালোভাবে দেখা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এই চার্চের আগুন মিশরের সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনাগুলির মধ্যে একটি।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফতেহ এল-সিসি  কপটিক ক্রিশ্চান পোপের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং শোকপ্রকাশ করেছেন।

সিসি ফেসবুকে লিখেছেন,''এই দুঃখজনক ঘটনার উপর নজর রাখছি। আমি সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছি, তারা যেন প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেন।''

চার্চের ভিতরের অবস্থা।
চার্চের ভিতরের অবস্থা।ছবি: Tarek Wajeh/AP Photo/picture alliance

কী করে হলো?

সরকারিভাবে এই দুর্ঘটনার কারণ জানানো হয়নি। তবে তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।

মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চার্চের দোতলায় এয়ার কন্ডিশনারে প্রথম আগুন লাগে। তারপর ঘন কালো ধোঁয়া চার্চের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দমবন্ধ হয়ে মানুষ মারা গেছেন।

এই চার্চের একটি অংশ ডে কেয়ার সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা হতো। আগুন লাগার পর দ্রুত সেখান থেকে বাচ্চাদের বের করে নেন চার্চ কর্মীরা।

মিশরে প্রায় এক কোটি ক্রিশ্চান আছেন। তারা সকলেই কপটিক চার্চকে মানেন। ক্রিশ্চানদের উপর এর আগে বেশ কয়েকবার জেহাদি আক্রমণ হয়েছে। বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মোরসিকে হঠিয়ে আল-সিসি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই ধরনের বেশ কয়েকটি হামলা হয়। ক্রিশ্চানদের বাড়ি, স্কুল, চার্চ পুড়িয়ে দেয়া হয়।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)