1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালিতে জঙ্গি হামলা, নিহত ৫১ গ্রামবাসী

১০ আগস্ট ২০২১

নাইজার সীমান্তে তিনটি গ্রামে হামলা চালায় জঙ্গিরা। বুরকিনা ফাসোয় নিহত ১২ জন সেনা জওয়ান।

https://p.dw.com/p/3ym2m
মালি
ছবি: Michel Cattani/AFP

ফের জঙ্গি হামলা মালিতে। মালির সেনা বাহিনীর এক মুখপাত্র সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, গত শনি এবং রোববার নাইজার সংলগ্ন গ্রামে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তিনটি গ্রাম কার্যত জনশূন্য করে দিয়েছে তারা। সেনাবাহিনী সেখানে পৌঁছে কেবল মৃতদেহের স্তূপ দেখেছে। সরকারি হিসেবে এখনো পর্যন্ত ওই ঘটনায় ৫১জন মারা গেছে বলে জানানো হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। গ্রাম থেকে কেউ পালিয়ে বাঁচতে পেরেছে কি না, সে তথ্যও পাওয়া যায়নি।

কোন জঙ্গি সংগঠন এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আল কায়দা সমর্থিত কোনো গোষ্ঠী এ কাজ করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। আফ্রিকার ইসলামিক স্টেটও এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে বলে সেনাবাহিনীর অন্য সূত্র সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছে।

নাইজার সীমান্তে যখন এ ঘটনা ঘটছে, তখনই মালির অন্য প্রান্তে বুরকিনা ফাসোয় সেনার সঙ্গে তীব্র লড়াই হচ্ছে জঙ্গিদের। সেখানেও ১২ জন সেনা নিহত হয়েছেন। মালির প্রেসিডেন্ট এই ঘটনার পর জানিয়েছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান বন্ধ হবে না। বরং তা আরো জোরদার হবে। হত্যা করে সেনার মনোবল জঙ্গিরা ভাঙতে পারবে না।

মালি, নাইজার, নাইজেরিয়া এবং বুরকিনা ফাসোর সীমান্ত অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই জঙ্গিরা সক্রিয়। বোকো হারাম, আফ্রিকার আইএস এবং আল কায়দার গোষ্ঠী সেখানে সক্রিয়। গত সপ্তাহেই তাদের হাতে প্রচুর সেনার মৃত্যু হয়েছে। মালির ঘটনায় মৃত্যু হলো বহু গ্রামবাসীর। কীভাবে এর মোকাবিলা সম্ভব, তা নিয়ে চিন্তায় বিশ্ব।

বস্তুত, মালিতে জঙ্গিদের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য আগেই সেনা পাঠিয়েছিল জাতিসংঘ। কিন্তু তাদের উপস্থিতিতেই একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে।

এসজি/জিএইচ (এএফপি, রয়টার্স)