1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্সেডিজের সঙ্গে চুক্তি সই করলো শুমাখার

২৪ ডিসেম্বর ২০০৯

মোটরগাড়ি দৌড়ে আবারো ফিরে আসছেন ফর্মুলা ওয়ানের কিংবদন্তী খেলোয়ার মিশায়েল শুমাখার৷ তবে বরাবরের মতো ফেরারির হয়ে নয়, এই ‘কামব্যাক’-এর পর শুমাখার তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে যাচ্ছেন মার্সেডিজের হয়ে৷

https://p.dw.com/p/LCes
মিশায়েল শুমাখার এবং নিকো রোসব্যার্গছবি: AP

মার্সেডিজের সঙ্গে তিনি ইতিমধ্যেই এক বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন এবং ২০১০ সালে বাহারিন গ্রঁ প্রিতে ফিরে আসছেন একটি নতুন ‘টিম' নিয়ে৷ জানা গেছে, দলের প্রধান হিসেবে থাকছেন ফেরারির প্রাক্তন প্রধান রস ব্রাউন৷ প্রসঙ্গত, এই ব্রাউনের সঙ্গেই শুমাখার ইতিপূর্বে ছ'টি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ছিলেন৷

শুমাখারের কথায়, ‘‘আমি মোট সাত বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি৷ আর এবার এমন একটি ‘টিম' নিয়ে ফিরছি, যারা গত বছরও চ্যাম্পিয়ন ছিল৷ পার্টনার হিসেবে মার্সেডিজ-এর যেমন তুলনা হয় না, তেমনই দলের প্রধান হিসেবে ব্রাউনও অতুলনীয়৷ তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই যে আমাদের প্রধান লক্ষ্য - তা বলাই বাহুল্য৷''

এ বছরের গোড়ার দিকেই ফেরারির হয়ে ফেরার কথা ছিল শুমাখারের৷ শোনা যায়, ব্রাজিলের ফেলিপ মাজ্জা মোটরবাইক দুর্ঘটনায় পড়ায়, সাময়িকভাবে তাঁর শূন্যতা পূরণের ইচ্ছে প্রকাশ করেও শেষমেশ তাঁর কথা রাখতে পারেননি শুমাখার৷ তাই এবার, এহেন এক ‘উইনিং টিম' নিয়ে, ৯১টি রেসের বিজয়ী ৪০ বছর বয়স্ক এই জার্মান মার্সিডিজকে তার কাঙ্খিত সাফল্য এনে দিতে পারবেন কিনা - সেটাই দেখার বিষয়৷

মিশায়েলের ভাই রাল্ফ শুমাখারের মতে, ‘‘মিশায়েল আগের মতোই ট্রেনিং করে যাচ্ছেন৷ তাঁর সঙ্গে আছেন মনস্তত্ত্ববিদরাও৷ এবার শুধু কিলোমিটার বা দূরত্ব অনুযায়ী স্পিড কনট্রোল করা৷ আমার মনে হয়, সেটা উনি পারবেন৷'' এছাড়া, মিশায়েলের সাবেক দুই প্রতিপক্ষ ড্যামন হিল এবং নাইজেল ম্যানসেল মনে করেন, শুমাখারের জন্য বয়সটা কোনো সমস্যাই নয়৷ তাঁদের প্রশ্ন - আর্জেন্টিনার হুয়ান মানুয়েল ফাঞ্জিও যদি ৪৬ বছর বয়সে বিশ্বশিরোপা জিততে পারেন, তাহলে শুমাখার হাল ছাড়বেন কেন?

উল্লেখ্য, বাহারিন গ্রঁ প্রিতে শুমাখারের সঙ্গে একই আসনে থাকবেন আর এক জার্মান চালক নিকো রোসব্যার্গ৷

প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

সম্পাদনা : রিয়াজুল ইসলাম