মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে ম্যার্কেলের রসায়ন
২০০৫ সাল থেকে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ এই সময়ে তিনি তিনজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আসতে, যেতে দেখেছেন৷ তাদের সঙ্গে ম্যার্কেলের সম্পর্ক কেমন ছিল?
কে আগে তাকাবেন?
ইরান, বাণিজ্য, ন্যাটোসহ নানান ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে ম্যার্কেলের মতবিরোধ ছিল৷ তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভালো ছিল না৷ একবার ট্রাম্প ম্যার্কেলকে ‘স্টুপিড’ বলেও ডেকেছিলেন বলে শোনা যায়৷ ছবিটি ২০১৯ সালের ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের সময় তোলা৷
এখানে কে বস?
২০১৮ সালের জুনে ক্যানাডায় জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের সময় তোলা এই ছবি অনেকের ভুরু কুঁচকে দিয়েছিল৷ এখানে কি ম্যার্কেল মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে নিয়ন্ত্রণে আছেন, নাকি যিনি বসে আছেন তিনি বস? জার্মান সরকার এই ছবিটি প্রকাশ করেছিল এই ক্যাপশন দিয়ে, ‘দুটি সেশনের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত মিটিং’৷
হ্যান্ডশেক, যেটা আসলে নয়
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার মাস দুয়েক পর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে ম্যার্কেলের প্রথম সাক্ষাতের ছবি এটি৷ সেই সময় ওভাল অফিসে গণমাধ্যমের সামনে ম্যার্কেলের সঙ্গে হাত মেলাননি তিনি৷
আমার চোখে দেখো
দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বারাক ওবামার সঙ্গে ম্যার্কেলের বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল৷ ছবিটি ২০১৬ সালের নভেম্বরে বার্লিনে তোলা৷ ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কয়েকদিন পর বিদায়ী সফরে জার্মানি এসেছিলেন ওবামা৷
আল্পসে ম্যার্কেল-ওবামা
২০১৫ সালে জি-সেভেন সম্মেলনের সময় বাভারিয়ার আল্পসে ছবিটি তোলা৷ ওবামার সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেয়েছিলেন ম্যার্কেল৷
আপনিও কি একইরকম অনুভব করেন?
ওবামার আগে প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ বুশ৷ ম্যার্কেলের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পরই তার সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত মন্তব্য করেছিলেন বুশ৷ ২০০৬ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে জি-এইট সম্মেলনের সময় হঠাৎ করেই ম্যার্কেলের ঘাড় মাসাজ করে দিয়েছিলেন বুশ৷ এতে ম্যার্কেল চমকে উঠেছিলেন৷
ম্যার্কেলের সংসদীয় আসনে বুশ
২০০৬ সালে ম্যার্কেল তার সংসদীয় আসনে বুশকে নিয়ে গিয়েছিলেন৷ ছবিতে বুশকে ম্যার্কেলের প্লেটে গ্রিল করা বন্য শূকর কেটে দিতে দেখা যাচ্ছে৷
বুশের ব়্যাঞ্চে ম্যার্কেল
একবছর পর ২০০৭ সালে টেক্সাসে নিজের ব়্যাঞ্চে ম্যার্কেল ও তার স্বামীকে আপ্যায়ন করেছিলেন বুশ৷ নিজেই গাড়ি চালিয়েছিলেন৷
বাইডেনের সঙ্গে
২০০৯ সালে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিয়েছিলেন ম্যার্কেল৷ বক্তব্য শেষে সবাই যখন হাততালি দিচ্ছিলেন সেই সময় তখনকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক কথায় হেসে উঠিছিলেন৷ বাইডেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ায় দুই দেশের বন্ধুত্ব আবার ঠিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷