1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে’

১৪ মে ২০১২

জার্মানির ‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে’ ও ভারতের রামকৃষ্ণ মিশন বহু বছর ধরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করে আসছে৷ মূলত গ্রামাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই দুই সংস্থা৷

https://p.dw.com/p/14udh
ছবি: picture-alliance/dpa

বেসরকারি উদ্যোগে জার্মানির যেসব এনজিও বিভিন্ন দেশে উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে থাকে, তাদের মধ্যে ‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে' একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে৷ সম্প্রতি এই সংস্থার ৫০ বছর পূর্ণ হলো৷ এই উপলক্ষ্যে বন শহরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের মানস ঘোষ৷ কলকাতার কাছে নরেন্দ্রপুরে রামকৃষ্ণ মিশনের নানা উন্নয়নমূলক কাজে সহায়তা করে আসছে জার্মানির ‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে'৷ গোটা বিশ্বে অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে এত দীর্ঘ সময় ধরে সহযোগিতার দৃষ্টান্ত নেই জার্মান এই এনজিও'র৷ মানস ঘোষ এর কারণ উল্লেখ করে বললেন, রামকৃষ্ণ মিশন ও ‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে' – দুটি সংস্থাই মূলত গ্রামাঞ্চলে দুঃস্থ মানুষদের সাহায্যে কাজ করে৷ মানুষের জীবিকার উন্নয়ন, জীবনযাত্রার উন্নয়ন করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য৷

‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে'এর সঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশনের সহযোগিতার সূচনা হয়েছিল ত্রাণ সাহায্যকে কেন্দ্র করে৷ সেসময়ে জার্মান এই সংস্থাটি ‘জার্মান অ্যাগ্রো অ্যাকশন' নামেও পরিচিত ছিল৷ পরে প্লাবন বা খরার সময় ত্রাণ ছাড়াও মানুষের পুনর্বাসন এবং ধাপে ধাপে তাদের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যেও একসঙ্গে কাজ শুরু করে দুই সংস্থা৷

Manas Ghosh Welthungerhilfe Indien zu Besuch bei der DW
ডয়চে ভেলের স্টুডিওতে মানস ঘোষছবি: DW

পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ তথা ভারতে গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই কৃষি নির্ভর৷ অতএব কৃষির উন্নয়নের ক্ষেত্রেও কাজ করে চলেছে রামকৃষ্ণ মিশন৷ তবে এক সার্বিক উন্নয়নের মডেলে বিশ্বাস করে এই সংস্থা৷ নারী, শিশু, পরিবেশ, শিক্ষা, জীবিকা – এই সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নকে সুস্থ, স্থায়ী ও সুস্থিত উন্নয়ন করতে চায় রামকৃষ্ণ মিশন৷ কোনো দুঃস্থ মানুষের হাতে শুধু অর্থ তুলে দিলে তার মানসিকতা বিগড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন মানস ঘোষ৷

‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে'ও রামকৃষ্ণ মিশনের মধ্যে সহযোগিতাকে শুধু আর্থিক কাঠামোর ভিত্তিতে মূল্যায়ন করতে চান না মানস ঘোষ৷ দুই সংস্থারই একই মানসিকতা থাকার ফলে সহযোগিতার পরিসর অত্যন্ত বড়৷ মানুষের উপকার করা নয়, তাদের সেবা করার সুযোগ পেতেই আগ্রহী এই দুই সংস্থা৷ ‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে' বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করে থাকে৷ রামকৃষ্ণ মিশনের নিজস্ব তহবিলে সেই অর্থ যোগ হলে আরও বড় আকারে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়৷

উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে যেসব উদ্যোগ চলছে, সেসম্পর্কে ধারণা পেতে ও মতের আদান-প্রদান সম্ভব করতে ‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে' যে আন্তর্জাতিক ‘ওয়ার্কশপ' বা কর্মশালার আয়োজন করে, তারও বিশাল গুরুত্ব আছে বলে মনে করেন মানস ঘোষ৷ এমন কর্মশালায় পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ বা ঝাড়খণ্ডে রামকৃষ্ণ মিশনের কাজের অভিজ্ঞতা বাকিদের কাছে যেমন তুলে ধরা যায়, তেমনই বিশ্বের অন্য প্রান্তে যে ভালো কাজ হচ্ছে, সেবিষয়ে জ্ঞান অর্জন করারও সুযোগ পাওয়া যায়৷ সেই শিক্ষার ভিত্তিতে নিজেদের কাজের ধরণকেও সেভাবে উন্নত করা যায়৷

সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ