মানুষ ও প্রাণীর সম্পর্ক
কুকুরকে সবসময়ই বলা হয়ে থাকে মানুষের প্রকৃত বিশ্বাসী বন্ধু, সহস্রাব্দ ধরে মানুষ আর পশুর সম্পর্ক রয়েছে এবং একে অপরকে দরকারও৷
মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু কুকুর
কুকুর কখনো খেলার সাথী, কখনো পাহাড়াদার, আবার কখনো বা অন্ধের পথপ্রদর্শক৷ কুকুর মানুষের সবচেয়ে বিশ্বাসী বন্ধু৷ পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, কুকুর মানুষের আচরণ লক্ষ্য করে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে৷ মানুষের শরীরের অঙ্গভঙ্গী এবং চোখ দেখে বুঝতে পারে মানুষ কি চায়৷ আর সেজন্যই গাইড কুকুররা অন্ধ মালিকদের গন্তব্য বুঝতে পেরে তাদের সেখানে পৌঁছে দেয়৷
জার্মানদের সবচেয়ে প্রিয় পোষা প্রাণী
জার্মানিতে ৮ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাড়িতে বেড়াল পোষেন৷ তাই বেড়ালই হচ্ছে জার্মানিতে পোষা প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়৷ তার কারণ তুলতুলে বেড়ালকে কোলে নিয়ে আদর করতে ভালো লাগে, বেড়ালের যত্ন নেওয়াও সহজ৷ এছাড়া এরা খুবই শান্ত ও চুপচাপ স্বভাবের প্রাণী৷ তাছাড়া মানুষের দৈনন্দিন চাপ ও সমস্যার সাথে মানিয়ে নিতে বেড়াল তার মালিককে সাহায্য করে৷
খরগোশ
খরগোশ যদিও কুকুরের মতো মানুষের সাথে তেমন সম্পর্ক চায় না তারপরও খরগোশের ঘন সুন্দর লোম এবং মিষ্টি চেহারার কারণেই অনেকে বাড়িতে খরগোশ পোষেন৷ লম্বা কানের কোনো কোনো খরগোশ তাদের মালিক বাড়িতে এলেই আনন্দিত হয়৷ গায়ের গন্ধ এবং কণ্ঠ শুনেই মালিককে চিনতে পারে তারা৷ খরগোশ বুদ্ধিমান প্রাণীদের দলে না পরলেও ওরা বুঝতে পারে বাড়িতে ওদের কি করার অনুমতি আছে, আর কি নেই৷
পরিবহণ থেকে শুরু করে অবসর কাটানো
অনেক আগে ঘোড়াকে শুধু মাল টানাটানি বা পরিবহণের কাজে লাগানো হতো৷ তবে আজকের দিনে আর তা করা হয় না৷ তবে ঘোড়াপ্রেমীরা অবসর সময়ে অতি আনন্দের সাথে ঘোড়ায় চড়েন৷
গরু
হাজার বছর ধরেই মানুষ ও গরুর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক সম্পর্ক৷ গরুর মাংস ও দুধ খাওয়ার পাশাপাশি মানুষ গরুর চামড়াও বিভিন্ন কাজে লাগায়৷ গরু খোলা আকাশের নীচে ঘাসের ওপর ঘুমায়৷ গরুর স্থান এখনো কৃষকের বাড়িতেই রয়ে গেছে৷
শূকর
শূকরকে গালি দেওয়ার জন্য বিশেষ শব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷ তবে সবচেয়ে বড় কথা, জার্মানিতে শূকরের মাংস অনেক বেশি খাওয়া হয়৷ একজন জার্মান বছরে ৩৯ কেজি শূকরের মাংস খেয়ে থাকেন৷