1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানিক, বিভূতিভূষণের ডাকটিকিট

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২০ নভেম্বর ২০১৯

বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথী, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দুটি ডাকটিকিট বুধবার প্রকাশ করলো ভারতীয় ডাক বিভাগ৷ দেরিতে হলেও সম্মান জানালো দুই দিকপালকে৷

https://p.dw.com/p/3TOSi
ছবি: DW/S. Bandopadhyay

ভারতীয় ডাক বিভাগ অন্যান্য ভাষার লেখক-সাহিত্যিকদের সম্মানে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশে যতটা তৎপর, বাংলা ভাষার সাহিত্যিকদের প্রতি ততটা নয়৷ বাংলা এবং বিশ্ব সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়৷ তাই তাঁর স্মৃতিতে একাধিক ডাকটিকিট আছে৷ অবশ্য রবীন্দ্রনাথ বিশ্বের অন্যতম দার্শনিক-সাহিত্যিক, যাঁর নামে একাধিক দেশে ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছে৷ তার মধ্যে আছে সুইডেন, রাশিয়া, ব্রাজিল, স্পেন, আর্জেন্টিনা, চিলে, ভিয়েতনাম, মোজাম্বিক, শ্রীলঙ্কা এবং অবশ্যই বাংলাদেশ৷ এছাড়া ভারত এবং বাংলাদেশ, দুই দেশেই কবি নজরুলের স্মরণে ডাকটিকিট আছে৷ এছাড়া ভারতে ডাকটিকিট আছে দুই জনপ্রিয় কথাকার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে৷ ডাকটিকিট আছে বিদ্যাসাগরের স্মরণে৷ সেখানে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনতিঅতীতকালের দুই কথাসাহিত্যিকের ডাকটিকিট প্রকাশ নিঃসন্দেহে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা৷

বেটার লেট দেন নেভার: বুদ্ধদেব গুহ

কিন্তু খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেল, কবি বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে, গল্পকার বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়, ওরফে বনফুলের নামে ডাকটিকিট আগেই প্রকাশিত হয়েছে৷ সেখানে মানিক এবং বিভূতিভূষণকে সম্মান জানাতে ভারতীয় ডাক ও তার বিভাগ কি একটু বেশিই দেরি করে ফেলল?‌বুধবার কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস প্রেক্ষাগৃহে এই দুটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করলেন এই সময়ের বিশিষ্ট কথাকার বুদ্ধদেব গুহ৷ তিনিও মানলেন, যে দেরি হয়েছে অবশ্যই৷ কিন্তু একইসঙ্গে স্মরণ করলেন সেই ইংরেজি আপ্তবাক্য— বেটার লেট দেন নেভার৷
তবে বুদ্ধদেব গুহর আফসোস, আজকের দিনে ডাকটিকিট তার প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব হারিয়েছে৷ এখন সবই মোবাইল মেসেজ আর বৈদ্যুতিন চিঠি৷ কটা লোক আর কাগজে-কলমে চিঠি লেখে!‌আক্ষেপ বাংলা ভাষায় একাধিক জনপ্রিয় এবং একমাত্র পত্রোপন্যাসের লেখকের৷
বুধবার কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে স্মারক ডাকটিকিটের ‘‌স্পেশাল কভার’ প্রকাশের সময় ভারতীয়‌ ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ শাখার চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য জানালেন, রবীন্দ্রোত্তর যুগে বাংলা সাহিত্যের প্রধান তিন স্তম্ভ তারাশঙ্কর, মানিক এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে, তারাশঙ্করের নামে স্মারক ডাকটিকিট আগেই প্রকাশিত হয়েছে৷ বাকি দুজন এতদিন উপেক্ষিতই ছিলেন৷ অবশেষে সেই ভুল সংশোধন করল ভারতীয় ডাক বিভাগ৷ তবে চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেলের বক্তব্যেই ইঙ্গিত পাওয়া গেল, এখানেই শেষ নয়৷ এটি মূলত বাঙালি লেখকদের নিয়ে একটি বিশেষ সিরিজের সূচনা মাত্র৷ ঠিক যেভাবে ওঁরা বিখ্যাত সুরকার, গায়কদের নিয়ে একটি সিরিজের সূচনা হয়েছে৷ অর্থাৎ আগামীতে আরও অনেক বিশিষ্ট বাঙালি জায়গা পাবেন ডাকটিকিটে৷

গত বছরের মে মাসের ছবিঘরটি দেখুন...