1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘ দল ত্রিপোলিতে

২৭ এপ্রিল ২০১১

অশান্ত আরব বিশ্বের বিশেষ করে লিবিয়া এবং সিরিয়ার দিকেই এখন দৃষ্টি বিশ্ববাসীর৷ বিশ্ব নেতারাও এই অঞ্চলের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছেন৷ এই অবস্থায় লিবিয়ায় গেছেন মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তদন্তে গঠিত জাতিসংঘ দল৷

https://p.dw.com/p/114mF
মিসরাটা- এখনছবি: AP

লিবিয়ায় মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তদন্তে করতে জাতিসংঘের দলটি রাজধানী ত্রিপোলিতে গিয়ে পৌঁছেছেন৷ গত ফ্রেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে গাদ্দাফি বিরোধী আন্দোলনকারীদের দমন করতে কঠোর-কঠিন অভিযান পরিচালনা করেছে সরকারি সেনারা৷ বিদ্রোহীদের উপর বিমান হামলার মতো ঘটনাও ঘটেছে৷ সব মিলিয়ে এই সকল ঘটনায় কম করে হলেও ১ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি বিদ্রোহী এবং মানবাধিকারবাদী সংগঠনগুলোর৷ জাতিসংঘ সেই সব ঘটনাই তদন্ত করে দেখবে৷

মানবাধিকার কমিশনার নাভি পিল্লাই অবশ্য এর আগেই বলেছেন, লিবিয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সামিল৷ তিন সদস্যের এই তদন্তকারী দলকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিলেও লিবিয়া সরকারের এক মুখপাত্রের দাবি, মানবাধিকার লংঘনের জন্য ন্যাটো বাহিনী দায়ী, তারা নন৷

গত মঙ্গলবার রাতে মিসরাটায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ বিদ্রোহী ঘাঁটি বেনগাজির দিকে যাবার সময় তাদেরকে হত্যা করা হয়৷ বলে রাখা ভালো, বন্দর নগরী মিসরাটায় বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন৷ অব্যাহত চোরা গোপ্তা হামলা; পথে পথে হচ্ছে যুদ্ধ ও গোলা বর্ষণের ঘটনা৷ এ কারণে সাধারণ মানুষ ঘরের বাইরে বেরুতে পারছে না৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্য সামগ্রীর নিত্য অভাব সেখানে৷

Syria.jpg
সিরিয়ার আন্দোলনকারীরাছবি: AP

এদিকে, আরেক বিক্ষুদ্ধ আরব দেশ সিরিয়ার প্রতিবাদী আন্দোলন কবলিত শহর দারা অভিমুখে সারি সারি ট্যাংকের বহর চলতে দেখা যাচ্ছে৷ পুরনো বহরের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হবে এই বহর৷ সেখানে আজও আন্দোলনকারীদের উপর সরকারি বাহিনীর হামলার খবর পাওয়া গেছে৷ শহর থেকে ভেসে আসছে অস্ত্রের গর্জন৷ বিভিন্ন স্থানে উচ্চারিত হচ্ছে শ্লোগান৷ আন্দোলনকারীদের একটিই বক্তব্য, আর তা হলো - হটো আসাদ৷

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের ভাইসহ আরও বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোও সিরিয়ার উপর সম্ভাব্য অবরোধ আরোপের দিকেই যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ বার্লিন এই প্রস্তাবে সমর্থন দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে৷ এ বিষয়ে আগামী শুক্রবার ব্রাসেলসে বিশেষ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷

অপরদিকে, সিরিয়ার একটি মানবাধিকারবাদী সংগঠন আজই জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ৪৫৩ জন বেসামরিক মানুষের মুত্যু হয়েছে৷ তাদের হিসাবে নিরাপত্তা বাহিনীরও ৫০ জন সদস্য নিহত হয়েছে এই সময়ে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক