1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানবাধিকার– একটি শব্দ, একটি অধিকার

১৯ জুন ২০১১

বিশ্বায়নের এই যুগে অসংখ্যবার মানবাধিকার শব্দটি উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সব মানুষের জীবনে৷ বার বার বলা হয়েছে, ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হবে এবং সঙ্গে সমানাধিকার নিশ্চিত করা হবে৷

https://p.dw.com/p/11fBH
ভোটাধিকারছবি: DW

কিন্তু এত প্রতিশ্রুতি ও প্রতিজ্ঞার পরও মানবাধিকার আজ হুমকির সম্মুখীন৷ উন্নয়ন, প্রযুক্তির অগ্রগতি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা, ব্যবসা এবং শ্রম বাজার নীতি এবং কৌশল পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তের মানুষের জীবন পাল্টে দিয়েছে৷ উপরোক্ত প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবন-যাপন যে জড়িত, তা অস্বীকার করার উপায় নেই৷ কারণ পৃথিবীর সব মানুষই স্বাধীন৷ সবার আছে সমানাধিকার৷ সভ্য সমাজে থাকতে হলে যে অধিকারের প্রয়োজন তার প্রতিটিই প্রত্যেকটি মানুষের উপভোগ করার অধিকার রয়েছে – এই কথাগুলো বলা হয়েছে ১৯৪৮ সালের মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে৷

কিন্তু নশ্বর এই মাটির পৃথিবীতে আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে৷ প্রকৃতি, পরিবেশ এবং সমাজে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা৷ অর্থনৈতিক মন্দায় জর্জরিত পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি দেশ৷ আবহাওয়া ও পরিবেশ পরিবর্তনের খেসারত দিচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো৷ পানি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের চূড়ান্ত ব্যবহার করার ফলে এগুলো এখন হুমকির সম্মুখীন৷ গত দশ বছরে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে৷ কোনো কোনো জায়গায় তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে৷ কারণে-অকারণে দেখা দিচ্ছে সংঘাত-সংঘর্ষ৷

Flash-Galerie Arbeitsamt Schlange
এরা সবাই বেকারছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb

অর্থনৈতিক বৈষম্য কমাতে হবে

বিশ্ব ব্যাংক এবং ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সহযোগী সংস্থা ওইসিডি ইতিমধ্যেই বেশ পরিস্কারভাবেই জানিয়েছে টেকসই বা স্থায়ী উন্নয়নের পথ আমাদের বেছে নিতেই হবে৷ শুধুমাত্র টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমেই প্রকৃতি, পরিবেশ এবং সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব৷ আর তা হলেই ব্যবসা এবং বিনিয়োগ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি আশা করা যেতে পারে৷ অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বিশ্বকে রক্ষা করা যেতে পারে৷

Spanische Gastarbeiter demonstrieren in Hannover
হানোফারে অভিবাসীদের একটি বিক্ষোভছবি: picture-alliance/dpa

তবে এসব পরিবেশ বাস্তবায়নের ক্ষমতা দরিদ্রদেশগুলোর নেই৷ দূর্বল দেশগুলোর বেশিরভাগ মানুষেরই এ বিষয়ে কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই৷ তারা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত৷ সামাজিক এবং অর্থনৈতিক চাপ ছাড়াও সন্ত্রাস এবং বৈষম্যমূলক আচরণের সম্মুখীন হয় তারা প্রতিনিয়ত৷ তাই এদের সাহায্য এবং সহযোগিতার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি৷ মর্যাদাসম্পন্ন একটি কাজ, যে কাজের সুবাদে একটি মানুষ তার পরিবারকে নিয়ে বেঁচে থাকতে সক্ষম – তার ব্যবস্থা করে দিতে হবে৷ প্রতিটি মানুষের বেলাতেই একই কথা প্রযোজ্য৷ সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে প্রতিটি মানুষকে – কারণ এই প্রতিশ্রুতি উচ্চারিত হয়েছে ১৯৪৮ সালের মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে৷

সেই ঘোষণাপত্রেই সামাজিক এবং রাজনৈতিক অধিকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং তা নিশ্চিত করা হয়েছে সব মানুষের জন্য৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, বাস্তবে এর প্রতিফলন কতটুকু?

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক