1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাধ্যমিকে সকলে পাস, অধিকাংশ প্রথম ডিভিশনে

২০ জুলাই ২০২১

পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। রেকর্ড গড়ে একশ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ।

https://p.dw.com/p/3wice
মাধ্যমিক
ছবি: Payel Samanta/DW

একশতে একশ। পশ্চিমবঙ্গে এটাই এখন মাধ্যমিকের বাস্তবতা। এই প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করলো। একজনও অকৃতকার্য হয়নি। প্রথম শ্রেণিতে পাশের সংখ্যা ৯০ শতাংশ। তবে পুরো ফলাফলই ছাত্রছাত্রীদের সারা বছরের পারফর্ম্যান্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। করোনার জন্য পরীক্ষা নেওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার ফলাফল প্রকাশের সময় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, কোনো ছাত্রের যদি ফল পছন্দ না হয়, তাহলে সে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তার জন্য বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, করোনার কারণে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা নেয়া যায়নি। পর্ষদ এক বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করেছে। ওই বিশেষ ব্যবস্থার নাম ইন্টারনাল ফরম্যাটিং ইভালুয়েশন। ছাত্রছাত্রীদের নবম শ্রেণির মধ্যভাগ এবং অন্তভাগ পরীক্ষার ফলাফলও মূল্যায়ন করা হয়েছে।

গত বছর ৮৬ শতাংশ ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিকে পাশ করেছিল। এবার যে তা এক লাফে ১০০ শতাংশে পৌঁছে যাবে, পর্ষদ তা আশা করেনি বলে জানিয়েছেন কল্যাণবাবু। স্বাভাবিকভাবেই এই ফলাফলে তিনি আনন্দিত।

৭৯ জন এবারের মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণের সংখ্যাতেও এবার রেকর্ড হয়েছে। ৯০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট ১০ লাখ ৭৯ হাজার ছাত্রছাত্রীর এবার মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল। ছাত্রের থেকে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরে গোটা দেশেই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরেই ভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। পর্ষদের বক্তব্য, অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেই মূল্যায়ন করা হয়েছে। তবে চাইলে ছাত্রছাত্রীরা ফের পরীক্ষায় বসতে পারে।

এসজি/জিএইচ (মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সাংবাদিক বৈঠক)