1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদার টেরেসার সংগঠনে বিদেশি ডোনেশন বন্ধ

২৮ ডিসেম্বর ২০২১

লাইসেন্স নবীকরণ করলো না সরকার। বিদেশি ডোনেশন নিতে পারবে না মাদার টেরেসার সংস্থা মিশনারিজ অফ চ্যারিটি।

https://p.dw.com/p/44tC2
মাদার টেরেসার সংগঠন আর বিদেশি অনুদান পাবে না। ছবি: Sudipta Das/Pacific Press/picture alliance

গরিব মানুষকে সাহায্য করা, তাদের পাশে দাঁড়ানোর খরচটা আসে মূলত বিদেশ থেকে আসা অর্থ থেকে। কিন্তু মাদার টেরেসার সংগঠন মিশনারিজ অফ চ্যারিটি আর বিদেশ থেকে অর্থ পাবে না। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটি লাইসেন্স নবীকরণের আবেদন জানিয়েছিল, কিন্তু তা খারিজ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির আবেদনপত্র বিবেচনা করার সময় দেখা যায়, তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রতিকূল ইনপুট আছে।

প্রবল বিরোধ

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার আসলে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে।  মমতা লিখেছেন, ক্রিসমাসের সময়ে মাদার টেরেসার সংগঠনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়ার খবর শুনে আমি স্তম্ভিত। তাদের ২২ হাজার রোগী ও কর্মীকে এখন খাবার ও ওষুধ ছাড়া থাকতে হবে।

চ্যারিটির কর্মকাণ্ড

মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কয়েক হাজার নান ছয়শটি মিশনে কাজ করেন। তারা অনাথ বাচ্চা, পরিত্যক্ত শিশুদের জন্য কাজ করেন। তারা প্রচুর অনাথাশ্রম চালান।

এই মাসে চ্যারিটির কাজকর্ম নিয়ে গুজরাটে তদন্ত শুরু হয়। কারণ, তখন অভিযোগ উঠেছিল, মাদার টেরিজার সংস্থা বাচ্চা মেয়েদের সাহায্য করার নামে বাইবেল পড়াচ্ছে, ধর্মীয় প্রার্থনা করাচ্ছে। 

তবে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিল, তারা সেবা করার ক্ষেত্রে ধর্ম দেখে না।

ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার অভিযোগ

কিছুদিন হলো ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি অসহিষ্ণুতার অভিযোগ উঠেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, এবার বেশ কিছু জায়গায় বড়দিনের উৎসব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত সপ্তাহেই হরিদ্বারে একটি অনুষ্ঠানে কট্টরপন্থি হিন্দু ধর্মীয় নেতারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছেন। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছেন ৭৬ জন সিনিয়ার আইনজীবী।

মাদার টেরেসা ও তার সংগঠন

মাদার টেরেসার জন্ম আলবেনিয়ায়। তিনি ১৯৫০ সালে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৭ সালে যখন তিনি মারা যান, তখন তার সংস্থা পুরো বিশ্বে পরিচিত। তার কর্মভূমি ছিল কলকাতা। কলকাতার গরিব, অসুস্থ মৃত্যুপথযাত্রী, বাচ্চাদের পাশে থেকেছেন সব সময়। ২০১৬ সালে তাকে সন্ত বলে ঘোষণা করা হয়। তাকে বলা হয়, 'সেন্ট টেরেসা অফ কলকাতা'।

 জিএইচ/এসজি (এপি,রয়টার্স)