1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদকসেবী তাড়াতে অভিনব উদ্যোগ

২০ আগস্ট ২০১৮

বার্লিনের ব্যস্ততম রেল স্টেশন হারমানস্ট্র্যাসেতে মাদকসেবীরা যাতে আসর বসাতে না পারেন, সেজন্য একটি নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে জার্মানির জাতীয় রেল অপারেটর ডয়েচে বান (ডিবি)৷

https://p.dw.com/p/33QLB
Ben Knight
ছবি: DW/B. Knight

নয়কোলন ডিস্ট্রিক্টের এই স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে ‘অ্যাটোনাল মিউজিক' বাজাবে তারা৷ এই সংগীতে কোনো একক সুর ঘিরে স্বরের ওঠা-নামা থাকে না৷

ডিবি'র পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগের প্রধান ফ্রিডেমান কেসলার এই সপ্তাহের শুরুর দিকে পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করেছেন৷

এ বছরের শেষ নাগাদ পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে রেল অপারেটরটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন৷

পরিকল্পনাটির বিস্তারিত এখনো স্পষ্ট করা হয়নি৷ কী কী গান বাজানো হবে তা-ও এখনো ঠিক হয়নি বলে বার্লিনভিত্তিক পত্রিকা টাগেসস্পিগেল জানিয়েছে৷

পত্রিকাটি বলছে, এই অঞ্চলের মানুষ অ্যাটোনাল সঙ্গীত শুনে খুব একটা অভ্যস্ত না হওয়ায় সেগুলোকেই বাছাই করছে ডয়েচে বান৷

‘‘খুব কম সংখ্যক লোকের কাছে এটা ভালো লাগবে৷ অনেকের কাছে মনে হবে দৌড়ে পালাই,'' কেসলারকে উদ্ধৃত করে লিখেছে পত্রিকাটি৷

ডয়েচে বানের পক্ষ থেকে প্রায় ৫৫০টি স্টেশনের ভালোমন্দ দেখভালের দায়িত্বে আছেন ফ্রিডেমান কেসলার৷ তাঁর এই পরিকল্পনা চলতি সপ্তাহেই বার্লিনে শুরু হতে যাওয়া অ্যাটোনাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজকদের জন্য বড় একটা আনন্দের উপলক্ষ হতে পারে৷

তবে এই উদ্যোগ বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন কেসলার৷ এতে যাত্রীরা বিরক্ত হতে পারেন বলে স্বীকার করছেন তিনি৷

Berlin: A park keeper and the dealers

নতুন এই পরিকল্পনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যাত্রীরা৷ সেখান দিয়ে নিয়মিত চলাচল করা জানিনে নামের একজন বলেন, ‘‘এতে মাদকসেবীরা চলে যাবে বলে আমি মনে করি না৷ তারা এখানে এসে মিলিত হয়৷ কিন্তু তাদের লুকোনোর অনেক জায়গা আছে৷''

স্থানীয় বাসিন্দা রেবেকা হাবিখ্টও মনে করছেন, এটা খুব ফলপ্রসূ উদ্যোগ হবে না৷

তিনি বলেন, ‘‘স্টেশনটি হওয়ার পর থেকেই এখানে মাদকসেবীদের আড্ডা৷ এই সমস্যা দূর করার জন্য তারা নানাভাবে চেষ্টা করেছে৷ আমার মনে হয়, এটা দিয়ে কিছু হবে না৷ আর যদি কিছু হয়, সেটা হবে তাদের অন্য কোথাও গিয়ে মাদকের আড্ডা বসানো৷''

তবে অ্যাটোনাল মিউজিক সাধারণ যাত্রীদের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে নিজের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি৷

ওই স্টেশনে নানা কাজে নিয়োজিতদের মধ্যেও এ বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে৷ আন্ডারগ্রাউন্ড এই স্টেশনে ছোট একটি বেকারি চালান শফিক হামুদা৷

তিনি বলেন, মাদকসেবীরা প্রায়ই তাঁকে জ্বালাতন করে, বিশেষ করে গভীর রাতে৷

‘‘তারা সব সময় ফ্রিজ থেকে পানীয় চুরি করার ধান্দায় থাকে৷ কখনো কখনো বিশষত মাদক সেবনের পর তারা খুবই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে৷''

সামাজিক সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সংগীতের ব্যবহার নতুন নয়৷ বার্লিনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অপারেটর বিভিজি ২০১০ সালে শহরের পশ্চিম দিকের একটি স্টেশন থেকে মাদকসেবীদের তাড়াতে ক্লাসিক সংগীত শোনানোর ব্যবস্থা করে৷ এছাড়া হামবুর্গ ও লন্ডনের রেলস্টেশনেও সংগীত শোনানোর আয়োজন করা হয়৷ অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধে ক্লাসিক সংগীত ভূমিকা রাখবে– এই ধারণা থেকে ওই জায়গাগুলোতে এটা চালু করা হয়েছিল৷

বেন নাইট/এএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য