1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদক সেবন কি উপকারী হতে পারে?

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করতে, সজাগ রাখতে মাদক বা ওষুধ খাওয়া উচিত কি? এর প্রবক্তরা ক্ষুদ্র পরিমাণে এমন পদার্থ সেবনের পরামর্শ দিলেও অনেক বিশেষজ্ঞ এ বিষয়ে অত্যন্ত সন্দিহান৷ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে তাঁরা এসব এড়িয়ে চলার পক্ষে৷

https://p.dw.com/p/34csa
Symbolbild Drogen Spritze Junkie
ছবি: picture alliance/JOKER

মার্কিন শিল্পপতি পল অস্টিন তাঁর আকাঙ্ক্ষিত সমাধান খুঁজে পেয়েছেন৷ এলএসডি মাইক্রোডোজ নিয়ে তাঁর উচ্ছ্বাস কম নয়৷ পল বলেন, ‘‘মাইক্রোডোজ নেওয়ার ৪৫ মিনিট পর খুব ভালো বোধ করছি, সহজেই হাসি পাচ্ছে, বাইরের জগতের সঙ্গে আদান-প্রদানের ইচ্ছা বাড়ছে৷ লেখার সময় সহজেই আইডিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি৷ সব মিলিয়ে জীবনে অনেক কিছু সহজ হয়ে উঠেছে৷''

ক্ষুদ্র কৌটোয় এলএসডি – ৬ থেকে ২০ মাইক্রোগ্রাম৷ এটুকু খেলে নাকি মগজ চাঙা হয়৷ গটলিব ডুটভাইলার ইনস্টিটিউটে এক ভাষণে পল অস্টিন এমনটাই দাবি করলেন৷ সেটা কি শুধু অ্যামেরিকান হুজুগ? সম্ভবত নয়৷ কারণ, দর্শকদের একাংশ মাইক্রোডোজিংয়ের আইডিয়া মোটেই উড়িয়ে দিতে প্রস্তুত নয়৷

মগজকে যাঁরা বেশি কাজে লাগাতে চান, তাঁদের কাছে এমন রাসায়নিক দ্রব্যের মূল্য কি সোনার মতো? মানুষ অবশ্য বেশ কিছুকাল ধরে মগজ তাজা করতে ট্যাবলেট খাচ্ছে৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিউরোএনহ্যান্সার বা মগজের উন্নতি করে এমন ওষুধের যাত্রা শুরু হয়েছিল৷ জার্মান সৈন্যদের জন্য বড় আকারে অ্যাম্ফিটামিন উৎপাদন করা হয়৷ বাজারে তার নাম ছিল পেরভিটিন৷ মানুষকে আরো সজাগ ও দক্ষ করে তোলাই ছিল তার উদ্দেশ্য৷ বেসমারিক জনগণও সেই ওষুধের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে৷ এমনকি টফির মধ্যে অ্যাম্ফিটামিন ভরে বিক্রি শুরু হয়৷

কঠিন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে সত্তরের দশকে সুইজারল্যান্ডে অ্যাম্ফিটামিনকে অ্যানেস্থেশিয়া সংক্রান্ত আইনের আওতায় আনা হয়েছিল৷

আজ মস্তিষ্কের ডোপিং করতে চাইলে অসংখ্য ওষুধ পাওয়া যায়৷ অ্যাম্ফিটামিন ও এলএসডি মাইক্রোডোজ ছাড়াও বিটাব্লকার বা মডাফিনিল ট্যাবলেট রয়েছে, যা আসলে নিদ্রাহীনতা কাটাতে প্রয়োগ করা হয়৷ এছাড়া রিটালিন অত্যন্ত জনপ্রিয়৷

বরিস কুয়েডনো-র মতো সাইকো-ফার্মাকোলজিস্ট মনে করেন, এক শতাংশেরও কম মানুষ নিয়মিত এমন ওষুধ খান৷ কারণ, সেগুলির প্রভাব সম্পর্কে এখনো অস্পষ্টতা রয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এমন কোনো পদার্থ খেলে তার প্রভাবের মধ্যে সবসময়ে সংঘাত থেকে যায়৷ হয়তো আমার প্রেরণা, সজাগ থাকার ক্ষমতা বেড়ে যায়, অন্যদিকে আবার অন্য কিছু কগনিটিভ ক্ষমতার অবনতি ঘটে৷''

কারণ, নিউরোএনহ্যান্সার জাতীয় ওষুধ মস্তিষ্কের কোষগুলির মধ্যে স্বাভাবিক যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করে৷ তারা নিউরোট্রান্সমিটারের চলাচল বদলে দেয়৷ স্নায়ুকোষগুলির মধ্যে স্পন্দনও প্রভাবিত হয়৷ নিউরোএনহ্যান্সারের প্রভাবের ফলে আরো বেশি সেমিওকেমিক্যাল সৃষ্টি হয়৷ এর ফলে মস্তিষ্কে কিছু ক্রিয়া বেড়ে যায় বটে, কিন্তু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়৷ বরিস কুয়েডনো বলেন, ‘‘ব্যক্তিগতভাবে আমি এলএসডি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেবো৷ এমনকি মাইক্রোডোজেও নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়৷''

অর্থাৎ, মস্তিষ্কের জন্য আদর্শ রাসায়নিক পদার্থ এখনো স্বপ্নই থেকে গেছে৷ বরিস কুয়েডনোর মতো গবেষকরা তার বদলে এক কাপ কফি পান করার পরামর্শ দেন৷ এভাবেও টেকসই প্রক্রিয়ায় আমাদের কগনিটিভ ক্ষমতা বা বোধশক্তি বাড়তে পারে৷

ইওয়েল ব্লাউমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান