1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদক-কাণ্ডে গ্রেপ্তার শাহরুখের ছেলে

৪ অক্টোবর ২০২১

প্রমোদতরীতে অবৈধ মাদক-সহ আটক করা হয় শাহরুখের ছেলে আরিয়ানকে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।

https://p.dw.com/p/41DZO
ছবিতে একদম বামদিকে আরিয়ান খানছবি: Strdel/AFP/Getty Images

রোববার মুম্বই থেকে গোয়াগামী একটি জাহাজ থেকে আরিয়ান-সহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। অভিযোগ, চরস, কোকেন, এমডিএমএ-এর মতো নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এনসিবি-র অফিসাররা জানিয়েছেন, তারা পরিচয় গোপন করে ওই জাহাজে উঠেছিলেন। তাদের কাছে আগেই খবর ছিল যে, ওই জাহাজে মাদক পার্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জাহাজ মুম্বইয়ের উপকূল ছাড়তেই অভিযুক্তরা মাদক বার করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। সকাল ১০টা থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনসিবি-র অফিসাররা। দুপুর ২টো পর্যন্ত তা চলে। এনসিবি-র দাবি, অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১৩গ্রাম কোকেন, ২১গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ ট্যাবলেট এবং পাঁচ গ্রাম এমডি পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান।

আরিয়ানকে থানায় আনার কিছুক্ষণের মধ্যেই শাহরুখকে দেখা যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আইনজীবীর কাছে যেতে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার বিকেলেই তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে সোমবার পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয়।

আরিয়ানের আইনজীবী অবশ্য জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, ওই জাহাজে ওঠারই কথা ছিল না আরিয়ানের। তার কাছে বোর্ডিং পাস, কেবিন কিছুই ছিল না। ওই জাহাজের কেউ বা কারা তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তার জন্যই তিনি সেখানে গেছিলেন। তার কাছ থেকে কোনো মাদকও উদ্ধার হয়নি। কেবল তার কিছু চ্যাট দেখিয়ে এনসিবি তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

এনসিবি-র অফিসাররা জানিয়ছেন, অভিযুক্তরা অন্তর্বাস, মোজা, জুতো এবং মানিব্যাগে মাদক লুকিয়ে এনেছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, বোর্ডিংয়ের সময় চেকিংয়ে কেন তা ধরা পড়ল না?

জাহাজটি একটি বেসরকারি সংস্থা চালায়। তারা জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে তারা কোনোভাবেই যুক্ত নয়। তদন্তকারীদের সবরকম সাহায্য করতে তারা প্রস্তুত।

এদিকে, মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের দাবি, আসল ঘটনা থেকে চোখ ফেরাতেই এই ঘটনাটিকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি গুজরাতের বন্দর থেকে বিশাল পরিমাণ হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। কীভাবে তা গুজরাতে এল, কার কাছে তা যাচ্ছিল, এ নিয়ে বহু আলোচনা চলছে। সেই ঘটনা থেকে চোখ ফেরানোর জন্যই এনসিবি-কে দিয়ে এ কাজ করানো হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)