1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদক-কাণ্ড: জেরা দীপিকা সহ চার নায়িকাকে

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

মাদক-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় বলিউড। মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো এ বার জেরার জন্য ডেকে পাঠাল দীপিকা পাড়ুকোন সহ চার নায়িকাকে।

https://p.dw.com/p/3ivGS
ছবি: Getty Images/AFP/S. Jaiswal

বেআইনিভাবে মাদক কেনা ও রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতের বন্ধু রিয়া চক্রবর্তীকে। একই অভিযোগে তাঁর ভাই শৌভিকও গ্রেফতার। বলিউডের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির দাবি, সুশান্ত সিং রাজপুতও মাদকাশক্ত ছিলেন। রিয়াও অভিযোগ করেছেন, সুশান্ত সিগারেটের মধ্যে গাঁজা ভরে খেতেন। আর এই মাদকাশক্তির শিকড় না কি অনেক গভীরে। বলিউডের প্রচুর নায়ক-নায়িকা এর শিকার।

মাদকের সূত্রেই চার নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন, শ্রদ্ধা কাপুর, সারা আলি খান ও রাকুল প্রিত সিং-কে জেরার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো। তিনদিনের মধ্যে তাঁদের ব্যুরোর অফিসে আসতে বলা হয়েছে।

গত সোমবার ২০১৭ সালের একটি হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট নিয়ে হইচই শুরু হয়। সেখানে 'ডি' ও 'কে' নামে দুই জনের মধ্যে কথা চালাচালি হয়েছে গাঁজা নিয়ে। বলিউডের তারকাদের একটি পার্টির জন্যই না কি গাঁজার খোঁজ হচ্ছিল। অভিযোগ, এই 'ডি' হলেন দীপিকা এবং 'কে' হলেন তাঁর ম্যানেজার করিশমা। 

দীপিকা একটি শুটিং-এর কাজে গোয়ায়। করিশমাও তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন। করিশমাকেও ডেকে পাঠিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো। কিন্তু তিনি অসুস্থতার কারণে সময় চেয়েছেন।

সূত্র জানাচ্ছে, মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর নজরে আরো কয়েকজন নায়ক-নায়িকার নাম রয়েছে। পরে তাঁদেরও ডাকা হতে পারে।

কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সিনেমা হিট বা ফ্লপ হওয়ার অনিশ্চয়তা, কাজের চাপ, সফল হওয়ার তীব্র আকাঙ্খা, ভালো ছবি পাওয়া বা না পাওয়ার চাপ-- এই সব মিলিয়ে বলিউডের নায়ক-নায়িকারা মাদকের দিকে ঢলে পড়েন। তাছাড়া সফল নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে একটা বেপরোয়া ভাবও চলে আসে। এমনিতে রুপোলি পর্দার জগৎটাই অতিবাস্তব। তবে এই সব কারণ সত্ত্বেও তাঁদের মাদক নেয়ার প্রবণতা কখনোই সমর্থযোগ্য নয় এবং ভারতে গাঁজা সহ অন্য মাদক নেয়া অপরাধ।

দীপিকা অবশ্য এর আগে জেএনইউ-তে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়ে বিজেপির বিরাগভাজন হয়েছিলেন। তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর ডাক পাওয়া বাকি নায়িকারা সেরকম কিছু করেননি। মাদক নেন বা নিতেন এমন অভিযোগ অনেক নায়কের বিরুদ্ধেই শোনা যায়। তাঁরা এখনো ডাক পাননি। 

জিএইচ/এসজি(এএনআই, পিটিআই)