1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাক্রোঁ, ম্যার্কেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন

১১ নভেম্বর ২০২০

জার্মান চ্যান্সেলার ম্যার্কেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ সহ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বললেন জো বাইডেন।

https://p.dw.com/p/3l7ZM
ছবি: Reynolds/dpa/picture alliance

ডনাল্ড ট্রাম্প হার স্বীকার করেননি, বাইডেনকে তিনি প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট বলেও মানছেন না। এখনো সরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। তা সত্ত্বেও অবিচলিত বাইডেন। তিনি বলেছেন, তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। ট্রাম্পের চলে যাওয়া ও তাঁর হোয়াইট হাউজে প্রবেশের পথে কোনো বাধা থাকবে না বলেই তিনি মনে করছেন। ট্রাম্পের অনমনীয় মনোভাবকে 'কিঞ্চিত অস্বস্তি' বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেনের দায়িত্ব নেয়ার কথা। তার আগেই তিনি কার্যত কাজ শুরু করে দিয়েছেন। করোনা নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন। কথা বলতে শুরু করেছেন বিভিন্ন রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তার মধ্যে ম্যার্কেল, মাক্রোঁ, জনসন আছেন।

জার্মানির চ্যান্সেলার ম্যার্কেলের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, তিনি ফোনে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের সঙ্গে কথা বলেছেন। ট্রাম্পের আমলে অ্যামরিকার সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক খুব একটা মধুর ছিল না। জার্মান নেতারা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা চান বাইডেন জিতুন। ম্যার্কেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, জার্মান চ্যান্সেলার দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাইডেনের আমলে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপিত হবে।

ট্রাম্প যখন জিতে এসেছিলেন তখন ম্যার্কেল তাঁকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখার কথা বলেছিলেন। এখন বাইডেনের ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিক্রিয়া একেবারে আলাদা। তিনি জার্মানি ও অ্যামেরিকার সম্পর্ক ভালো করার উপরেই জোর দিয়েছেন।

ম্যার্কেল ছাড়াও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন।

মাক্রোঁর অফিস জানিয়েছে, বাইডেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়েও একসঙ্গে চলার কথা বলেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্যারিস চুক্তি থেকে ট্রাম্প বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপীয় নেতারা ধাক্কা খেয়েছিলেন। বাইডেন আসায় অ্যামেরিকা আবার  চুক্তিতে সামিল হবে বলে তাঁরা মনে করছেন।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী জনসনের সঙ্গে অবশ্য ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাই বাইডেনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কীরকম দঁড়াবে তা নিয়ে জল্পনা আছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বাইডেন ও জনসনের মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। জনসন তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।

 ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের ব্লক এ বার বাইডেনের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলবে।

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি, এপি)