মাইকে ধরা খাওয়া রাজনীতিবিদেরা!
ভুলবশত মাইক বন্ধ না হওয়ার ফলে বেফাঁশ মন্তব্য করে বসেন রাজনীতিকরা৷ কারা সেই রাজনীতিকরা, জানুন ছবিঘরে...
রোনাল্ড রিগান
ঠাণ্ডা যুদ্ধের যখন তুঙ্গে, তখনই মাইক্রোফোন টেস্ট করতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান বলে বসেন, ‘‘আমি একটি অর্ডারে সই করেছি৷ আর মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমরা রাশিয়াতে বোমা হামলা চালাব৷’’ রেগন এই কথাগুলি ঠাট্টা হিসাবে বললেও কথাগুলি রেকর্ড হয়ে যায় ও ছড়িয়ে পড়ে৷ স্বাভাবিকভাবেই, তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া ভালো নজরে দেখেনি এমন মন্তব্য৷
বারাক ওবামা ও নিকোলাই সারকোজি
২০১১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাই সারকোজির কেউই জানতেন না যে মাইক অন রয়ে গিয়েছে৷ দুজনের অজান্তেই ধরা পড়ে যায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে করা তাদের মন্তব্য৷ সারকোজি বলেন, ‘‘আমি তো তাকে একদম সহ্য করতে পারি না৷ সে একজন মিথ্যুক৷’’ উত্তরে ওবামা বলেন, ‘‘তুমি ভাগ্যবান যে তোমায় প্রতিদিন তার সাথে কাজ করতে হয় না৷’’
জর্জ বুশ ও টোনি ব্লেয়ার
২০০৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সাথে দেখা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ার৷ সেই সাক্ষাতে বুশ হঠাৎ বলে বসেন, ‘‘এই যে ব্লেয়ার! তোমার দেওয়া সোয়েটারের জন্য ধন্যবাদ৷’’ কথা শেষ হতে না হতেই বুশ টের পান যে মাইক অন রয়ে গিয়েছে৷ তাড়াহুড়ো করে এরপর মাইক বন্ধ করে দিলেও এই কথাগুলি ধরা পড়েই যায়৷
গর্ডন ব্রাউন
২০১০ সালে নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে জিলিয়ান ডাফি নামের এক নারীকে ‘গোঁড়া মহিলা’ বলেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী গর্ডন ব্রাউন৷ পরে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেও সেই যাত্রায় নির্বাচনে হেরে যান গর্ডন৷
আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও মার্ক জুকারবার্গ
২০১৫ সালের একটি সাক্ষাতে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ভুলে যান যে তার সামনে রাখা মাইকটি বন্ধ হয়নি৷ অনায়াসেই ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গকে বলেন তিনি, ‘‘বিদ্বেষ ছড়ানো পোস্ট আটকাতে আমাদের কাজ করা উচিত৷ আপনারা কি কিছু করছেন?’’ জবাবে মার্ক জানান যে তারাও এই নিয়ে কর্মরত৷
জাক শিরাক
ফরাসী প্রেসিডেন্ট জাক শিরাক একবার যুক্তরাজ্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যে দেশের খাবার এত জঘন্য, সেই দেশের মানুষকে বিশ্বাস করা যায় না৷ ফিনল্যান্ডের পরেই সবচেয়ে খারাপ খাবার তাদেরই৷ ইউরোপের কৃষির জন্য ম্যাড কাও রোগ ছাড়া আর কোনো কিছুই করেনি তারা৷’’