‘মাই হোম ইজ মাই ক্যাসল'
১০ নভেম্বর ২০১৬ইয়ান ক্যোর্বেস পেশায় স্থপতি৷ তিনি একটি পুরনো গোলাকৃতি ‘সাইলো', অর্থাৎ ধান-গম জাতীয় খাদ্যশস্য রাখার কনটেনারকে একটি বাসযোগ্য দু'তলা বাড়িতে পরিণত করেছেন৷ তাতে শোবার ঘর, রান্নাঘর, স্টোভ কিংবা বাথটাব, সবই আছে, মাত্র তেরো বর্গমিটার জায়গার মধ্যে৷ বাড়ি তৈরিতে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর প্রচুর কল্পনাশক্তির প্রয়োজন পড়েছিল৷
প্রথমে একটা সাধারণত প্ল্যান বা নকশা বানাতে হয় – এই বাড়িটির ক্ষেত্রে তা লাগেনি৷ অন্যদিকে পুরনো জিনিসপত্র ও মালমশলা নিয়ে কাজ করাটা নতুন জিনিস নিয়ে কাজ করার চেয়ে অনেক বেশি শক্ত৷
ক্যোর্বেস-এর কর্মশালাটি নানা পদার্থে ভর্তি৷ তার সব কিছু যে এই বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হবে, এমন নয়৷ সাইলো টাওয়ার বাড়িটির একটি জানলা হবে একটি দরজা! ক্যোর্বেস বোঝালেন, ‘‘আসলে এটা বারান্দায় যাবার দরজা৷ কিন্তু অধিকাংশ মানুষের জন্য বড় খাটো বলে, মডেলটা খুব বেশি বিক্রি হয়নি৷'' ফিট করাও খুব সহজ কাজ নয়৷ জানালাটাকে কাঠামোয় বসিয়ে বারান্দায় যাবার দরজায় পরিণত করা হবে৷
সাইলোটা ফাইবারগ্লাসে তৈরি, তা-তে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়৷ তবুও ক্যোর্বেস সাইলোটিকে ফেলে দিতে চাননি৷
ইয়ান আর তার বন্ধু আর সহযোগীরা ন'মাস ধরে কাজ করার পর ক্যোর্বেস ও তাঁর কন্যা লুসিয়া এখানে আশ্রয় নিতে পেরেছেন৷ সাইলোর ওপরটা একটি কাচের ছাদ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে৷ বাড়ির সামনের সিঁড়িটা এসেছে বাড়ি তৈরির একটা পুরনো ধাঁচা থেকে৷
আসবাবের ক্ষেত্রেও তাই: খড় জড়ো করার একটা পুরনো আঁকশি হয়েছে হ্যাটস্ট্যান্ড৷ কোনো কাউন্টার তৈরি হয়েছে বাণিজ্যমেলার পুরনো স্ট্যান্ড থেকে৷ রেফ্রিজারেটরের দরজা হয়েছেো শেল্ফ৷ বাথরুমে ইয়ান ক্যোর্বেস-এর নিজের হাতে তৈরি টেবিলটা ঠিক বাথটাবের সঙ্গে কানায় কানায় ফিট করা, যা'তে জায়গা বাঁচে৷ মাসের পর মাসের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের ফল ফলেছে৷ ইয়ান ক্যোর্বেস এখন একটি সস্তা অথচ আরামের, কিন্তু অসাধারণ বাড়ির মালিক৷ এবার তিনি সাইলো থেকে বাড়ি বানানোর কাজটাকে তাঁর পেশা করতে চান৷
ইউলিয়া কাউলবার্স/এসি