মন্টেনেগ্রোতে করোনায় মৃত বিশপকে চুম্বনে বিদায়
করোনায় প্রার্থনা সভা বন্ধ এবং লকডাউনের বিরোধী ছিলেন তিনি৷ সেই করোনায় প্রাণ গেলো তাঁর৷ সার্বিয়ান অর্থোডক্স বিশপকে শেষ বিদায় জানাতে ভক্তরা স্পর্শ, এমনকি চুম্বন করলেন তাঁর মৃতদেহ৷ বিস্তারিত দেখুন ছবিঘরে৷
বিশপ আমফিলোহিখে রাদোভিচের মৃত্যু
রবিবার মন্টেনেগ্রোর সার্বিয়ান অর্থোডক্স গির্জায় শত শত মানুষ সমবেত হয়েছিলেন বিশপ রাদোভিচকে শেষ বিদায় জানাতে৷ করোনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ ভক্তরা করোনার বিধিনিষেধের কোন তোয়াক্কা করেননি৷ কারো মুখে ছিলো না মাস্ক, ছিলো না একে অপরের মধ্যে কোন দূরত্ব৷
চিকিৎসকদের অনুরোধ
অক্টোবর মাসের শুরুতেই করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে বিশপ রাদোভিচের দেহে৷ শুক্রবার তাঁর মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করেন, যাতে তাঁর কফিন খোলা রাখা না হয়, কারণ মৃত্যুর পরও ওই দেহে ভাইরাস রয়ে গেছে৷
মৃতদেহ চুম্বন
চিকিৎসকদের অনুরোধ মানেননি গির্জার কর্তৃপক্ষ৷ কফিনের ঢাকনা খোলা রাখা হয়৷ ভক্তরা কেউ মৃতদেহ স্পর্শ করে ধর্মগুরুকে শেষ বিদায় জানান, কেউ আবার চুম্বন করেন৷ মন্টেনেগ্রোর প্রধানমন্ত্রী বিশপ রাদোভিচকে শতাব্দীর অন্যতম সেরা মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷
করোনার সংক্রমণ
মন্টেনেগ্রো কর্তৃপক্ষ করোনার সংক্রমণ রোধে হিমশিম খাচ্ছে৷ ছোট্ট বলকান এই রাষ্ট্রে ৬ লfখ ২০ হাজার মানুষের বাস৷ এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ সার্বিয়ান৷ করোনায় এখন পর্যন্ত সেখানে ৩০১ জনের মৃত্যু হয়েছে, সংক্রমণের শিকার ১৮ হাজার ৩৪২ জন৷
‘ঈশ্বরের ভ্যাকসিন’
বিশপ রাদোভিচ রাশিয়ার সমর্থক এবং সার্বিয়া থেকে মন্টেনেগ্রো’র বিচ্ছিন্ন হওয়া কখনোই মানতে পারেননি তিনি৷ মে মাসে তিনি ঘোষণা দেন সপ্তদশ শতাব্দীর বিশপ ভাসিলিয়ে অস্ট্রোস্কির উদ্দেশে প্রার্থনা হল ‘ঈশ্বরের ভ্যাকসিন’৷ বলেন এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে যে কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটতে পারে৷ করোনাকালে কখনই তিনি জনসমক্ষে মাস্ক পরতেন না৷ লক ডাউনের সব সময় বিরোধিতা করে এসেছিলেন তিনি৷