মধ্যবর্তী নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন মুগাবে
৫ ডিসেম্বর ২০০৮জিম্বাবোয়ের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার অবসানে একটি ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তি প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট থাবো এমবেকি৷ কিন্তু তারপরও, সেই ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তির যথার্থ বাস্তবায়ন সম্ভব হয় নি৷
দৃশ্যতঃ, রবার্ট মুগাবের জানু-পিএফ দল বিরোধী মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক চেন্জ বা এমডিসি-কে মন্ত্রীসভার ১৩-টি পদ দিতে রাজি হওয়ার পরও, সংকট কাটে নি৷ কারণ, এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পদটিও দাবি করেছে এমডিসি-এর নেতা মর্গান চাঙ্গিরাই৷ চাঙ্গিরাই জানান যে, মুগাবের জানু-পিএফ পার্টি, এমডিসি-কে টপকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে৷ সে জন্য জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট মুগাবের বিরুদ্ধে অবিশ্বাসের অভিযোগও তুলেছে এমডিসি৷
তাই ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তিটি বাস্তবে কতোটা কার্যকর হবে এ নিয়ে সন্দেহ থেকেই গেছে৷ আর ঐকমত্যের সরকার বিফল হলে বছর খানেকের মধ্যে আবার নতুন করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ডাক দেবেন বলে জানিয়েছেন জিম্বাবোয়ের ৮৪ বছর বয়স্ক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে৷
উল্লেখ্য, ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তি অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্টের পদটি মুগাবের জানু-পিএফ দলের হাতেই থাকার কথা৷ অর্থাৎ, জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে থেকে যাওয়ার কথা রবার্ট মুগাবের৷ এদিকে, বিরোধী নেতা মর্গান চাঙ্গিরাই জানিয়েছেন যে, মুগাবে সরকার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়- দুটি মন্ত্রণালয়ই পেতে পারে না৷ সুতরাং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এমডিসি-কে দেওয়া না হলে, তারা এই ঐকমত্যের সরকারে যোগ দেবে না বলে জানান চাঙ্গিরাই৷
অন্যদিকে, অনেক আগেই রবার্ট মুগাবের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিসা রাইস৷ তিনি বলেন, ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তি প্রণয়নের পুরো ব্যাপারটি ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী আন্ডের্স ফগ রাসমুসেন বলেন, আফ্রিকান ইউনিয়নের উচিৎ জিম্বাবোয়ের নাজুক রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত করে অচলাবস্থা দূর করা৷ প্রসঙ্গত, রাইস এ মুহূর্তে ডেনমার্ক সফর করছেন৷
অপরদিকে, জিম্বাবোয়েতে কলেরা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায়, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলি৷ পশ্চিমা দেশগুলির কথায় আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পতিত মুগাবে সরকার এই মহামারী মোকাবেলায় মোটেও প্রস্তুত নয়৷ জিম্বাবোয়েতে কলেরার কবলে পড়ে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রকাশ৷