মধ্যপ্রাচ্যের শিশুদের মধ্যে যিশুকে দেখি
২৬ ডিসেম্বর ২০১৭সোমবার বড়দিন উপলক্ষ্য ভ্যাটিকানে তিনি তাঁর প্রথাগত ‘উর্বি এট অর্বি', অর্থাৎ ‘নগরী ও বিশ্বের প্রতি' বার্তা প্রদান করেন৷ প্রায় ৫০ হাজার অনুসারী সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷ পোপ বলেন, ‘‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের যেসব শিশু দুর্দশার মধ্যে রয়েছে তাদের মধ্যে আমরা যিশুকে দেখি৷'' এরপরই তিনি মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সমাধানে আলোচনা পুনরায় শুরুর আহ্বান জানান৷ ‘‘চলুন আমরা প্রার্থনা করি যেন বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরুর ইচ্ছা জেগে ওঠে এবং আলোচনার মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়, যার ফলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকত সীমানার মধ্যে দু'টি রাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে,'' বলেন পোপ ফ্রান্সিস৷
মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও পোপ সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান, ভেনেজুয়েলায় সংকটের কথা উল্লেখ করেন৷ ‘‘চলুন আমরা প্রার্থনা করি যেন কোরীয় উপত্যকায় সমস্যার সমাধান হয় এবং পুরো বিশ্বের স্বার্থে সকলের মধ্যে বিশ্বাসের মাত্রা বৃদ্ধি পায়,'' বলেন তিনি৷
এর আগে বড়দিনের আগের দিন সন্ধ্যায় এক প্রার্থনাসভায় দেয়া বক্তৃতায় পোপ ফ্রান্সিস জোসেফ আর মেরির বেথলেহেম যাত্রাকে চলমান শরণার্থী সংকটের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, শরণার্থীদের মর্যাদা দান খ্রিষ্টধর্মের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ পোপ বলেন, বাইবেলের আমলে জোসেফ আর মেরি যা করেছিলেন, আজকের শরণার্থীরা ঠিক সেভাবেই দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন৷
এদিকে, পোপ ছাড়াও জেরুসালেম নিয়ে কথা বলেছেন ‘ল্যাটিন প্যাট্রিয়ার্ক অফ জেরুসালেম'-এর অ্যাপোস্টোলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আর্চবিশপ পিয়ারবাতিস্তা পিৎসাবালা৷ বড়দিনের শুরুতে মধ্যরাতের প্রার্থনাসভায় তিনি জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘জেরুসালেম শান্তির শহর৷ কাউকে বঞ্চিত করে শান্তি আনা যায় না৷ জেরুসালেমের উচিত কাউকে গ্রহণ করা, বের করে দেয়া নয়৷'' তিনি বলেন, তিন আব্রাহামিক ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের জন্য জেরুসালেম শহর৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)