1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি চান ওবামা, বিতর্কে আহমেদিনেজাদ

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মুখোমুখি ওবামা-আহমেদিনেজাদ৷ মার্কিন প্রধানের বক্তব্যে উঠে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর দেশের উদ্যোগের কথা৷ অন্যদিকে ইরানের কট্টরপন্থী নেতা ৯/১১ সঙ্গে সম্পৃক্ত করলেন যুক্তরাষ্ট্রকে৷

https://p.dw.com/p/PLOz
জাতিসংঘ অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন ওবামাছবি: AP

জাতিসংঘ অধিবেশনে ওবামা

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চলমান মার্কিন উদ্যোগকে সফল করার আহ্বান জানালেন বারাক ওবামা৷ কেননা এই উদ্যোগ ব্যর্থ হলে ফিলিস্তিনিরা স্বাধীন রাষ্ট্র যেমন পাবেনা, তেমনি ইসরায়েলিদের থাকবে নিরাপত্তা ঘাটতি, এমনটাই শঙ্কা ওবামার৷ তাই এই শান্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্বনেতাদের বিশেষ করে আরব বিশ্বের আরো বেশি সহায়তা চাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ এসময় আলোচনার স্বার্থে ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে বসতি নির্মাণ বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি৷ এছাড়া ইরানের বিতর্কিত পরমাণু ইস্যুতে আবারো আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছেন ওবামা৷

আলোচনায় আহমেদিনেজাদ

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদও পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছেন৷ আগামী অক্টোবরেই এই আলোচনা শুরু হতে পারে বলে দাবি ইরানের কট্টরপন্থী নেতার৷ তবে, জাতিসংঘ অধিবেশনে আহমেদিনেজাদের ভাষণ ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে৷ ৯/১১-র সন্ত্রাসী হামলায় খোদ মার্কিন প্রশাসনেরই হাত রয়েছে বলে দাবি করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট৷ এই বক্তব্যের সময় মার্কিন এবং পশ্চিম বিশ্বের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘ অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন৷ ইতিমধ্যে এক বিবৃতিতে আহমেদিনেজাদের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ইইউ'র কথায়, আহমেদিনেজাদের এই দাবি ‘জঘন্য' এবং ‘অগ্রহণযোগ্য'৷

Mahmud Ahmadinedschad Millenniums-Gipfel
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদছবি: AP

এদিকে, জাতিসংঘ অধিবেশনে আহমেদিনেজাদের অংশগ্রহণের প্রতিবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ৷ নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ কার্যালয়ের সামনে ৮০০ প্রতিবাদকারীর মধ্যে অনেক ইরানিকেও দেখা গেছে৷ তাদের হাতে ব্যানার, ‘আহমেদিনেজাদ একজন সন্ত্রাসী'৷

ওবামা-জিয়াবাও

জাতিসংঘের মূল অধিবেশনের বাইরে আলাদাভাবে বৈঠকে অংশ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও৷ বৈঠকে চীনের মুদ্রা ইয়েন এর মান বাড়াতে জিয়াবাওকে অনুরোধ করেন ওবামা৷ একইসঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতির বিপজ্জনক সামঞ্জস্যহীনতা রোধে দুই দেশের খোলাখুলি আলোচনা প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়