মধ্য আফ্রিকায় আইএস-এর সহযোগী কারা?
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের গ্রামে গত দুই বছরে রাতে হামলা চালিয়ে কয়েকশ মানুষকে হত্যা করেছে এডিএফ৷ ২০১৯ সালে তারা ইসলামিক স্টেট, আইএস এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিল৷
শুরুর কথা
১৯৯০ দশকের শুরুতে উগান্ডার সরকারের বিরোধী হিসেবে জামিল মুকুলুর নেতৃত্বে অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্স এডিএফ এর যাত্রা শুরু হয়৷ উগান্ডায় একটি ইসলামি সরকার বসানোর লক্ষ্য ছিল তাদের৷ ছবিতে এডিএফ এর হামলায় পুড়ে যাওয়া বাড়ি দেখা যাচ্ছে৷
প্রতিষ্ঠা উগান্ডায়, কাজ কঙ্গোতে
২০১৩ সালে কঙ্গোর বেনি এলাকায় একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায় এডিএফ৷ এর পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে কঙ্গোর সেনাবাহিনী৷ তখন মুকুলু পালিয়ে তাঞ্জানিয়া চলে যান৷ ২০১৫ সালে তাকে গ্রেপ্তার করে উগান্ডায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ ছবিতে এডিএফ এর হামলায় নিহতদের সমাধি দেখা যাচ্ছে৷
আইএস এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ
মুকুলু গ্রেপ্তার হওয়ার পর এডিএফ এর ঊর্ধ্বতন ইসলামিক লিগ্যাল কর্মকর্তা সেকা মুসা বালুকু দায়িত্ব নেন৷ তিনি এডিএফকে আন্তর্জাতিক জিহাদি গোষ্ঠীতে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেন৷ ২০১৯ সালের মাঝামাঝি আইএস এর এক ভিডিওতে এসে বালুকু তাদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন৷
আবার অভিযান
২০১৯ সালের অক্টোবরে এডিএফ এর বিরুদ্ধে আবার অভিযান শুরু করে কঙ্গোর সেনাবাহিনী৷ এর প্রতিশোধ নিতে সাধারণ মানুষের উপর হামলা শুরু করে এডিএফ৷ জাতিসংঘ বলছে, গতবছর ৮০০র বেশি মানুষ হত্যা করেছে এডিএফ৷
আধুনিক বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঙ্গোর বাইরে থেকে ফাইটাররা গতবছর সেখানে গিয়ে এডিএফকে আধুনিক বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়৷
হামলার দায় স্বীকার আইএস এর
২০১৯ সালের এপ্রিলে কঙ্গোতে একটি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস৷ গতমাসে উগান্ডায় দুটি হামলার দায় স্বীকার করে তারা৷ ঐ দুই হামলায় একজন প্রাণ হারান৷ এরপর গত মঙ্গলবার উগান্ডায় সংসদ ও পুলিশ সদরদপ্তরের কাছে চালানো দুটি আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট৷ ঐ হামলায় চারজন প্রাণ হারান৷ এডিএফ সদস্য মেডি এনকালুবো এই পরিকল্পনা করেন বলে জানিয়েছে মার্কিন ব্রিজওয়ে ফাউন্ডেশন৷