মধুপুরের আনারস
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আনারসের চাষ হয় টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায়৷ এ নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন সে অঞ্চলের চাষিরা৷ ছবিঘরে দেখুন বিস্তারিত৷
আনারসের মৌসুম
বর্ষাকালই বাংলাদেশে আনারসের মৌসুম৷ প্রাকৃতিকভাবে আষাঢ়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শ্রাবণ মাসের শেষ পর্যন্ত আনারস পেকে থাকে৷
সবচেয়ে বেশি
মধুপুর উপজেলার সবখানেই আনারসের প্রচুর চাষ হয়৷ তবে উপজেলার অরুণখোলা, ষোলাকুঁড়ি, আউশনাড়া ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় আনারসের৷
নানা জাতের আনারস
মধুপুরে যেসব প্রজাতির আনারস চাষ হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জায়ান্টকিউ ও হানিকুইন৷ হানিকুইন আকারে ছোট এবং স্থানীয়ভাবে জলডুগি নামে পরিচিত৷
জনপ্রিয়
মধুপুরে চাষ হওয়া আনারসের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় আনারস হলো হানিকুইন বা জলডুগি৷ তবে বর্তমান সময়ে জায়ান্টকিউ আনারস চাষেও ঝুঁকেছেন এখানকার চাষিরা৷
আনারসে বিষ ব্যবহার
গত এক দশকের বেশি সময় ধরে মধুপুরের আনারসে রাসায়নিক ব্যবহারের মাত্রা বেড়েই চলছিল৷ বেশি লাভের আশায় এক শ্রেণির অসাধু চাষি আনারসে দ্রুত বৃদ্ধির জন্য হরমোন এবং পাকানোর জন্য রাইপেনার (ইথোফেন) ব্যবহার করতেন৷
কমেছে বিষের ব্যবহার
তবে সাম্প্রতিক সময়ে মধুপুরে বিষমুক্ত আনারসের চাষ বেড়েছে৷ বিষমুক্ত আনারসের চাহিদা ভালো থাকায় কৃষকরা বিষমুক্ত চাষাবাদে ঝুঁকছেন৷
চাষাবাদ তথ্য
এ বছর আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে মধুপুরে৷ কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর প্রায় আট হাজার হেক্টর জমিতে আনারস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ চৌত্রিশ হাজার টন৷
মধুপুরের আনারস ইউরোপে
মধুপুরের বিষমুক্ত আনারস এখন রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে৷ সরকারি প্রতিষ্ঠান হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষকৃত আনারস এ বছর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে৷
বাহন সাইকেল
ক্ষেত থেকে হাটে নেয়ার জন্য মধুপুরের কৃষকরা মূলত সাইকেলই ব্যবহার করেন৷ একেকটি সাইকেলে ১৫০ থেকে ২০০ টি আনারস বোঝাই করে কৃষকরা নিয়ে যান বাজারে৷
আনারসের হাট
মধুপুরের সবচেয়ে বড় আনারসের হাট বসে জলছত্র এলাকায়৷ সপ্তাহের মঙ্গল ও শুক্রবার জলছত্রের হাটবার হলেও আনারসের মৌসুমে সপ্তাহজুড়েই বসে আনারসের হাট৷